শহরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কলকাতায় ইন্টারেনট বন্ধ করল রাজ্য সরকার
শহরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কলকাতায় ইন্টারেনট বন্ধ করল রাজ্য সরকার
সিএএ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রথমদিকে অশান্তি হলেও, গত তিনদিন ধরে তেমন কোনও অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু শুক্রবার হঠাৎই খোদ কলকাতায় পরিস্থিতি বিগড়ে যায়। যার জন্য শহরের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয়েছে। জানা গিয়েছে, শহরের বেশ কিছু জায়গায় আচমকাই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। এর প্রভাব পড়েছে অ্যাপ ক্যাব পরিষেবায়। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ক্যাব চালকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
গত সপ্তাহে শুক্রবারই জুম্মার নমাজের পর উলুবেড়িয়াতে হিংসা ছড়ায়। রেল লাইন ও স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। আটকে পড়ে বহু দুরপাল্লার ট্রেন সহ লোকাল ট্রেনও। এই বিক্ষোভের আঁচ কলকাতাতেও দেখা যায়। তবে একসপ্তাহ পর তাণ্ডব কিছুটা থামলেও তা আবার নতুন করে গজিয়ে ওঠে। উত্তেজনা যাতে না ছড়ায় তার জন্য আগাম সতর্কতা নেওয়ার জন্যই বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এমনিতেই ৬টি জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ, তার সঙ্গে যুক্ত হল কলকাতার নামও।
এই শহরে বিক্ষিন্ন ঘটনা ঘটলেও ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়নি। কিন্তু শুক্রবার সেই ঝুঁকি নিল না সরকার। এদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেট পরিষেবা বন্ধের খবর পাওয়া যায়। পার্ক সার্কাস, বিশ্ব বাংলা সরণির পাশের বিস্তীর্ণ এলাকা, কামালগাজি, বিজয়গড়, খিদিরপুর, গড়িয়া, মোমিনপুরে এদিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল। অ্যাপ ক্যাব ইউনিয়নের নেতা ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় চালকরা ক্যাব নিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় বুকিং পাচ্ছেন না। সরকার আগে থেকে না জানানোয় বিপদ আরও বেড়েছে।
ওদিকে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় প্রভাব পড়েছে অন্যান্য একাধিক ক্ষেত্রে। বন্ধ ক্যুরিয়ার ডেলিভারিও।
সিএএ ও এনআরসি নিয়ে সংশয় নিরসন করে সকল প্রশ্নের জবাব দিল কেন্দ্র