১ মে ভোটগ্রহণে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা! মঙ্গলবারও নিষ্পত্তি হল না পঞ্চায়েত-মামলার
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মামলা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ফের সিঙ্গল বেঞ্চে ফিরিয়ে দিলেও তার নিষ্পত্তি হল না মঙ্গলবারও। হাইকোর্টের সিঙ্গলবেঞ্চে দীর্ঘ শুনানির পর আরও একদিন পিছিয়ে গেল রায়দান।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মামলা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ফের সিঙ্গল বেঞ্চে ফিরিয়ে দিলেও তার নিষ্পত্তি হল না মঙ্গলবারও। হাইকোর্টের সিঙ্গলবেঞ্চে দীর্ঘ শুনানির পর আরও একদিন পিছিয়ে গেল রায়দান। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফের মামলার শুনানি হবে। এমতাবস্থায় ১ মে নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী পঞ্চায়েতের ভোটগ্রহণ আদৌ সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের এজলাসে শুরু হয় পঞ্চায়েত মামলা। রাজ্য সরকারের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভোট প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর তার উপর হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত। ফলে মামলাটির গ্রহণযোগ্যতাই নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, তাহলে সুপ্রিম কোর্ট কেন মামলাটি হাইকোর্টে পাঠাল? এর ব্যাখ্যা চাওয়া হয় তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য এদিন শেষ হয়নি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। এরপরই পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ আরও একদিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আগামীকাল ফের এই মামলার শুনানি হবে। কল্যাণবাবু ফের বুধবার শুনানি পর্বে তিনি তাঁর যুক্তি খাঁড়া করবেন। এদিন আড়াই ঘণ্টা সওয়াল করেও কোনও লাভ হল না বলে ব্যাখ্যা বিরোধীদের।
এদিন হাইকোর্টের শুনানির পরও কোনও আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। একপ্রকার পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, কোনওমতেই ১ মে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না। কেননা, স্ক্রুটনি, মনোনয়ন প্রত্যাহার, প্রতীক বণ্টন, ব্যালট পেপার ছাপানো- এতসব কাজ বাকি, সেই কাজ সারতে নিদেন পক্ষে ১৫-১৬ দিন সময় লাগবে। তাই ১৮ তারিখ অর্থাৎ বুধবারও যদি চূড়ান্ত রায় আসে, তবু নির্ধারিত দিনে ভোট করতে পারবে না নির্বাচন কমিশন।