নবনীতা দেবসেনের প্রয়ানে ক্ষতি সাহিত্য জগতের
জন্ম সাহিত্যিক পরিবারে। সেই সুবাদে শৈশব থেকেই বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে তাঁর আত্মিক যোগ গড়ে উঠেছিল। বাবা নরেন্দ্র দেব এবং মা রাধারানী দেব দুজনেই সাহিত্য জগতের মানুষ ছিলেন। একাধিক কবিতা তাঁরা রচনা করেছেন। নবনীতা দেবসেনও সেই সান্নিধ্যেই বড় হয়েছে। তাই প্রথম থেকেই লেখালেখির প্রতি তাঁর ঝোঁক ছিল। প্রেসিডেন্সি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর উচ্চ শিক্ষার জন্য হাভার্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ে যান। সেখান থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পর ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। পরে ক্যালিফোর্নিয়া ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও তিনি গবেষণা করেছেন।

পড়াশোনা শেষ করে সোজা কলকাতায় ফিরে আসেন তিনি। শুরু করেন লেখালেখি। তাঁর প্রথম প্রকাশিত বই প্রথম প্রত্যয় (১৯৫৯)। প্রায় ৮০টি বই প্রকাশিত হয়েছে সাহিত্যিকের। সেগুলি আবার একাধিক ধারার। কবিতা, ছোটগল্প, রচনা, ভ্রমণ কাহিনী। এমনকী শিশু সাহিত্যের বইও লিখেছেন তিনি। ২০০০ সালে পদ্মসম্মানে সম্মানিত করা হয় তাঁকে। ১৯৯৯ সালে পেয়েছিলেন বাংলা আকাডেমি পুরস্কার। ২০০৮ সালে কমল কুমারী জাতীয় সম্মানেও সম্মানিত করা হয় তাঁকে।
প্রথম জীবনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। তাঁদের দুই মেয়ে অন্তরা দেবসেন এবং নন্দনা দেবসেন। কিন্তু সেই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি ১৯৭৬ সালে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তাঁর। দীর্ঘদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন নবনীতা দেবসেন। এমনকী আমেরিকা কলোরাডো কলেজ ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়েও বিশেষ অতিথি অধ্যাপক হিসেবে পড়িয়েছেন সাহিত্যিক।