মেয়রের নির্দেশের পরেও ডেঙ্গু প্রতিরোধে নির্বিকার কলকাতা পুলিশ
মেয়রের নির্দেশের পরেও ডেঙ্গু প্রতিরোধে নির্বিকার কলকাতা পুলিশ
ডেঙ্গু প্রতিরোধে মেয়রের নির্দেশের পরেও কোনও হেলদোল দেখা গেল না কলকাতা পৌরসভা ও কলকাতা পুলিশের। চলতি বছরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ডেঙ্গুর প্রকোপ এতটাই জাঁকিয়ে বসেছে দিনে দিনে বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। কলকাতা পৌরসভার একের পর এক পদক্ষেপের পরেও ডেঙ্গুকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। জমা জল থেকে মশার প্রজনন রুখতে গত কয়েকদিন আগেই বিশেষ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন কলকাতার মেয়র।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম কলকাতা পুলিশসহ, কলকাতা পৌরসভার পার্কিং বিভাগ গুলিকে গাড়ি সংরক্ষণ কেন্দ্র ও বিভিন্ন থানার সামনে পড়ে থাকা ভগ্নপ্রায় এবং জরাজীর্ণ গাড়ি গুলিকে সরিয়ে ফেলার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি এই প্রক্রিয়াটি কতটা কার্যকারী হল তা নিয়ে কলকাতার পুলিশ প্রধান অনুজ শর্মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলেও জানান তিনি। কিন্তু এক সপ্তাহের বেশি কেটে গেলেও, এই নিয়ে কোনও হেলদোল দেখা যাচ্ছেনা বলে জানা যাচ্ছে।
সোমবার শহরের অন্তত চারটি থানার সামনে ভগ্নপ্রায় জরাজীর্ণ গাড়ি সহ বিভিন্ন কাজে আটক করা মোটরবাইক গুলিকে খোলা জায়গায় একই ভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই গাড়ি গুলি কেবল রাস্তার জায়গাই নষ্ট করছেনা পাশাপাশি এর মধ্যে জল জমে মশার প্রজনন ক্ষেত্রও হয়ে উঠছে।
এদিন কালো রঙের ত্রিপলে ঢাকা বেশ কয়েকটি দামী বাইককে নিমতলা ঘাট স্ট্রিটের জোড়াবাগান থানা কমপ্লেক্সের ভিতরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়াও থানার বাইরে দেখা মেলে কিছু পরিত্যক্ত গাড়ির। অন্যদিকে, জোড়াসাঁকো, ভবানীপুর ও এন্টালি থানারও একই পরিস্থিতি। দীর্ঘদিন কেটে যাওয়ার পরেও কোনও সঠিক ব্যবস্থা কেনও নিল না কলকাতা পুলিশ এই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
এই প্রসঙ্গে লালবাজারের এক কর্মকর্তা জানান, "কোনও থানার আশেপাশে মশার প্রজনন ক্ষেত্র যাতে না তৈরি হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের কাছে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ রয়েছে। পরিত্যক্ত ও অব্যবহৃত গাড়ি গুলি সরানোর জন্য ইতিমধ্যেই একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা সর্বতোভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি।"
২০২০ সালে কলকাতা বিমানবন্দরে দেখা যাবে নতুন এটিসি