বাজে নয় বাজি , মিষ্টি বাজি খাওয়ালেন চিকিৎসক
বাজে নয় বাজি , মিষ্টি বাজি খাওয়ালেন চিকিৎসক
বাজি নিয়ে সচেতনতার জন্য নিষিদ্ধ চকলেট বোমের মতো বাজি বিতরণ করছেন এক ডাক্তারবাবু। তাও আবার তুলে দিচ্ছেন ছোটদেরই হাতে। নিশ্চয়ই ভাবছেন এরকম কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ কেন? সকাল সকাল এসে দেখুন আসল রহস্যটা কী। আসলে ডাক্তার বাবুর হাতে নিষিদ্ধ চকলেট বোমা দোদোমা সবই বিশেষ অর্ডার দিয়ে বানানো। এসবই বাজি মিষ্টি। বাজে বাজি নয়।
সম্প্রতি যৌথ অভিযানে শ্যামপুরের বারগ্রাম এলাকা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় ৩০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি। পাশাপাশি, এদিন একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, দু-একদিন আগেই রাজাপুর থানার পুলিশ খলিশানী মালপাড়া থেকে নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত উদ্ধার করেছিল, গ্রেফতার করা হয়েছিল দু'জনকে।
এর আগে মঙ্গলবার সূত্র মারফত খবর পেয়ে উলুবেড়িয়ার খলিসানী মালপাড়া এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় রাজাপুর থানার পুলিশ। অভিযান চালিয়ে প্রায় ১২৫ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি ও আতসবাজি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। পাশাপাশি দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
দিল্লি সরকার পয়লা জানুয়ারি, ২০২৩ পর্যন্ত জাতীয় রাজধানীতে সমস্ত ধরণের আতশবাজি পোড়ানো, বিক্রয় এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। এবারও শহরে অনলাইনে পটকা বিক্রি এবং সরবরাহের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই এমনটাই বলেন।
রাই টুইট করেন যে, 'এবার দিল্লিতে অনলাইনে পটকা বিক্রি/ডেলিভারি নিষিদ্ধ করা হবে। এই নিষেধাজ্ঞা পয়লা জানুয়ারী, ২০২৩ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য দিল্লি পুলিশ, দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি (DPCC) এবং রাজস্ব বিভাগের সাথে একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করা হবে,' । দীপাবলী, নববর্ষের আগের দিন এবং এই বছর অন্যান্য উৎসবগুলির সময় আতশবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
গত কয়েক বছর ধরে, আবহাওয়ার পরিবর্তন, প্রতিবেশী পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় বড় আকারে খড় পোড়ানো এবং দীপাবলির সময় পটকা ফাটার কারণে দিল্লির বায়ুর মান অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে বেশ কয়েকদিন ধরে জরুরি স্তরে নেমে এসেছিল।
পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা এই মরসুমে তাদের ধান কাটার অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলার ফলে উত্তর ভারতের বৃহৎ অঞ্চলে বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। নিম্ন তাপমাত্রা, বাতাসের গতি এবং শিল্প দূষণের মতো অন্যান্য কারণও সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে। দীপাবলির চারপাশে প্রায়শই বায়ুর গুণমান সূচক কমে যায়, যখন আতশবাজি ফোটে।
এই কারণে, দিল্লি বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহর হিসাবে স্থান পেয়েছে। ২০২০ সালে, নয়াদিল্লির গড় বার্ষিক ঘনত্ব PM২.৫ - ২.৫ মাইক্রোমিটারের কম ব্যাস সহ কণা পদার্থ - এক ঘন মিটার বাতাসে ছিল ৮৪.১, একটি সমীক্ষায় বলা হয়, এই পরিস্থিতি দিল্লিকে বিশ্বের দশম দূষিত শহর করে তুলেছিল।
আতশবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, গত বছরের নভেম্বরে দিল্লির বায়ু মানের সূচক ২০১৫ এর পর সবচেয়ে খারাপ ছিল। তাই এই বছর অনেক আগে থেকেই কড়া ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত হয়েছে সরকার।