বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসের ইতিহাসই ভরসা সিপিএমের! মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে জল্পনা
মানিকবাবু কলকাতায় এসে ফের কংগ্রেস ও সিপিএমের জোট জল্পনায় উসকে দিলেন। বঙ্গ সিপিএম যে স্ট্র্যাটেজি নিয়েছিল গত বিধানসভা নির্বাচনে, প্রয়োজনে তিনিও ত্রিপুরায় সেই মডেলের প্রয়োগ করতে চান বিজেপিকে রুখতে
বিজেপির বিকৃত ইতিহাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কংগ্রেসের ইতিহাসকে হাতিয়ার করতে চায় সিপিএম। কলকাতায় এসে এমনই মত প্রকাশ করলেন ত্রিপুরার সিপিএম মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তিনি বলেন, 'বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে কংগ্রেসের সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে। কেননা আমাদের প্রধান শত্রু বিজেপি। বিজেপির ষড়যন্ত্র রুখতে জোটবদ্ধ হওয়া জরুরি।'
[আরও পড়ুন:পথে এবার নামো সাথী..., 'পথ-যোগদানে' জন-জাগরণের অভিনব পরিকল্পনা মুকুলের]
মানিকবাবু কলকাতায় এসে ফের কংগ্রেস ও সিপিএমের জোট জল্পনায় উসকে দিলেন। বঙ্গ সিপিএম যে স্ট্র্যাটেজি নিয়েছিল গত বিধানসভা নির্বাচনে, প্রয়োজনে তিনিও ত্রিপুরায় সেই মডেলের প্রয়োগ করতে চান বিজেপিকে রুখতে। কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বিজেপির ত্রিপুরা জয়ের পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিতে চান।
মানিকবাবু অভিযোগ করেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করার চেষ্টা চালাচ্ছে ত্রিপুরাকে। রাজ্যকে নানা সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে। অবিজেপি শাসিত রাজ্যেই এই খেলা চালাচ্ছে কেন্দ্রের সরকার। তারপর উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিকে যোজনা কমিশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আর্থিক প্যাকেজ দিত কেন্দ্র। এখন যোজনা কমিশনের জায়গায় নীতি আয়োগ এসে সেই প্যাকেজ বন্ধ করে দিয়েছে।'
[আরও পড়ুন:তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক জলপাইগুড়িতে, কারা ধরলেন মুকুলের হাত, কারা অপেক্ষায়]
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর বলেন,'এখন কোনও প্রকল্পেরই টাকা দিতে রাজি নয় কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, কেন্দ্র এখন ষড়যন্ত্র করছে, ত্রিপুরায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে ভোট করার ব্যাপারে। সেই কারণেই বিজেপির বিরুদ্ধে এই লড়াই আরও জোরদার করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে চলতেও তাঁদের আপত্তি নেই। কেননা কংগ্রেসের ইতিহাস আছে। আর বিজেপি ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।'
মানিকবাবুর এই মন্তব্যে সিপিএমের কারাত লবি কিছুটা হলেও ধাক্কা খাবে। তার কারণ কারতা লবি চায় না কংগ্রেসের সঙ্গে কোনওভাবে হাত মেলাতে। বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সমদূরত্ব রেখে চলতে চান তাঁরা। কিন্তু বঙ্গ সিপিএম এখনও যে দাবিতে প্রকাশ কারাত লবির সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থন পেলে ফের দেশের রাজনীতির সমীকরণ অন্য দিকে ঢলে পড়তে পারে। ২০১৮-য় ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন আর তারপর ২০১৯-এর লোকসভার আগে তাই মানিক সরকারের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।