বাংলায় মোদীর সঙ্গে মিশছে অযোধ্যা-আবেগ! ব্রিগেডে আসছে আদবানির সেই রথ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক চালেই কিস্তিমাত। জঙ্গলমহলে ফিরছে তৃণমূলের আধিপত্য। বিজেপি পঞ্চায়েতে আশা জাগিয়েও ব্যাকফুটে পড়ে যাচ্ছে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসছেন প্রাক্তনীরা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেড ঘোষণার পরই পাল্টা ব্রিগেডের ডাক দিয়েছে বিজেপিও। ১৯-শের পাল্টা ২৩-শের ব্রিগেডের আগে ৪০ দিন ধরে রথযাত্রা করবে বিজেপি। রাজ্যের মোট তিনটি জায়গা থেকে রথ বের হবে বলে স্থির করেছে নেতৃত্ব। সেই লক্ষ্যে প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানির সেই রথ আনার উদ্যোগ নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।
১৯৯০ সালে গুজরাতের সোমনাথ মন্দির থেকে রথযাত্রার সূচনা হয়েছিল। অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই রথযাত্রার সূচনা হয়। সেইসময় লালকৃষ্ণ আদবানির রথ বিশাল জনপ্রিয়তা লাভ করে। এবং বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতেও সমর্থ হয়। এবার ২০১৯-এর আগে রাজ্যের বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোর লক্ষ্যে ফের আদবানি-রথকে আশ্রয় করছে বিজেপি।
বঙ্গ
বিজেপি
সূত্রে
জানা
গিয়েছে,
কেন্দ্রীয়
নেতৃত্বের
সঙ্গে
ইতিমধ্যেই
রথ
আনার
ব্যাপারে
কথা
হয়েছে।
চূড়ান্ত
অনুমোদনও
মিলেছে।
লালকৃষ্ণ
আদবানির
কনভয়ের
সঙ্গে
য়ে
রথ
ছিল,
সেগুলি
এখন
দিল্লি
ও
ছত্তিশগড়ে
রয়েছে।
সেগুলিকেই
রাজ্যে
আনা
হচ্ছে।
বিজেপি
স্থির
করেছে
মোট
তিন
জায়গা
থেকে
রথ
বের
হবে।
রথ
বের
হবে
কোচবিহার,
গঙ্গাসাগর
ও
তারাপীঠ
থেকে।
বিজেপি
জানিয়েছে,
তিন
জায়গাতেই
একসঙ্গে
সূচনা
হবে
রথযাত্রার।
তিন
জায়গাতেই
দুজন
করে
কেন্দ্রীয়
মন্ত্রী
উপস্থিত
থাকবেন।
রথগুলি
যাত্রা
শেষ
হবে
কলকাতায়
নরেন্দ্র
মোদীর
জনসভায়
এসে।
রথগুলির
মধ্যে
একটি
নামাঙ্কিত
হবে
শ্যামাপ্রসাদ
মুখোপাধ্যায়ের
নামে।
বাকি
দুটির
নামও
রাজ্যের
মনীষীর
নামে
হবে।
রথে থাকবে আধুনিক সমস্ত ব্যবস্থা। থাকবে বিছানা, পানীয় জল থেকে শুরু করে রান্নাঘর ও ওয়াইফাই ব্যবস্থাও। এবং রথগুলি হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। যেম আদবানির রথ বিহারে আটকে ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব, তেমনি এ রাজ্যেও তৃণমূল আটকাতে পারে রথ, সেই কারণে রথযাত্রার রুট নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা করছে রাজ্য বিজেপি।
[আরও পড়ুন:ফারাক গড়ে দিলেন মমতাই, বিজেপির 'আহত' সমর্থকরা যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূলে ]
রাজ্য বিজেপি সভাপতি এই বিষয়ে রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে ব্যবস্থা করতে আর্জি জানিয়েছেন। তিনিও কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে। তিনিই বলেন, যে রথে বসে আদবানিজি দিল্লি থেকে অযোধ্যা যাত্রা করেছিলেন, সেই রথই আনা হবে বাংলায়। বিজয়বর্গীয়র কথায় স্পষ্ট মোদীর সঙ্গে এবার আদবানির আবেগও কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি।