বিরোধীশূন্য বিধানসভায় ধ্বনি ভোটে বিল পাস, মুখ বুজে থাকবেন না মুখ্যমন্ত্রী
বিরোধীশূন্য বিধানসভায় ধ্বনিভোট পাস হয়ে গেল সম্পত্তি নষ্টে ক্ষতিপূরণসংক্রান্ত নয়া বিল। এই বিল পাস করে মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্য সরকার দুর্বল নয়।
কলকাতা, ৮ ফেব্রুয়ারি : বিরোধীশূন্য বিধানসভায় ধ্বনিভোট পাস হয়ে গেল সম্পত্তি নষ্টে ক্ষতিপূরণসংক্রান্ত নয়া বিল। এই বিল পাস করে মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'রাজ্য সরকার দুর্বল নয়। আন্দোলনের নামে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ বরদাস্ত করা হবে না। এই বিল মানুষের অধিকার রক্ষা করবে, জনগণের সম্পদ রক্ষা করবে। মানুষের পাশে থাকার জন্যই এই বিল আনা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, যাঁরা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের রাজনীতিতে বিশ্বাসী, তাঁরাই এই বিলের বিরোধিতা করছেন। তিনি বলেন, এদিনের প্রতিবাদ প্রমাণ করল সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি এক হয়ে গিয়েছে। উল্টোদিকে সৌজন্য দেখিয়ে এই বিল নিয়ে বিধানসভায় তুমুল বিশৃঙ্খলার মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়া বিরোধী দলনেতাকে দেখতে এসএসকেএমে তাঁর দলের তিন চিকিৎসক বিধায়ককে পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডা. চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ডা. মানস ভুঁইয়া ও ডা. সুদর্শন ঘোষদস্তিদার যান আবদুল মান্নানকে দেখতে। তাঁরা এসে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেন।
কংগ্রেস ও বাম শিবিরের বিধায়করা এই আইনকে কালাকানুন বলে তোপ দাগেন। বিরোধীদের দাবি, তাঁদের কণ্ঠরোধ করতেই এই বিল আনতে চাইছে রাজ্য সরকার। এই সরকারকে অসভ্য সরকার বলেও দ্বিধা করলেন না সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। বিধানসভার ভিতরে ধস্তাধস্তির পর বিধানসভা ভিতরে ও বাইরে মিছিল করেন কংগ্রেস ও বাম বিধায়করা। এক যোগে বিক্ষোভ করে তাঁরা প্রতিবাদ জানান। রাজ্যপালের সঙ্গেও কথা বলেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা। তাঁর সময় পেলেই রাজ্যপালের কাছে দরবার করবেন বিরোধীরা। বিধানসভা ওয়াক আউটকরার পর থেকেই আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে বসে বিক্ষোভ দেকাতে থাকেন বিরোধী দলের বিধায়করা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিরোধীরা যে ঘটনা ঘটাচ্ছে, যেভাবে এক হয়ে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর চালানো হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিনও বিধানসভার ভিতরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। মার্শাল ও নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ও বিশৃঙ্খলা ঘটে। মার্শাল ও নিরাপত্তারক্ষীরাও এই ঘটনায় জখম হয়েছে বলে দাবি। যদিও কংগ্রেস ও বাম বিধায়কদের তরফে এই দাবি নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে।
তাঁদের
পাল্টা
অভিযোগ,
এখন
বিপাকে
পড়ে
নাটক
করছে
সরকার
পক্ষ।
মার্শাল
ও
নিরাপত্তারক্ষীদের
সামনে
এনে
পিঠ
বাঁচানোর
চেষ্টা
করছে।
মুখ্যমন্ত্রী
আরও
জানান,
এইভাবে
সম্পত্তি
নষ্টের
ঘটনায়
তিনি
মুখ
বুজিয়ে
থাকবেন
না।
এ
ধরনের
ভাঙচুর
সংক্রান্ত
মামলা
যাতে
দ্রুত
শুনানি
হবে।
সে
জন্য
নতুন
ফাস্ট
ট্রাক
কোর্ট
চালু
করা
হবে।
রাজ্যপালের
কাছে
এই
মর্মে
অনুমোদনও
চাওয়া
হয়েছে।