থেকেও নেই পরিজনরা! পাশে পুলিশ থাকায় তৃপ্ত ঠাকুরপুকুরের বৃদ্ধ
প্রায় তিন বছর আগে ব্রেনস্ট্রোকের জন্য তার কোমর থেকে নিচের অংশ প্যারালাইসড হয়ে যায়। ঠাকুরপুকুর ব্রজমনি দেব্যা রোডের বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী, এক ছেলে। মেয়ের অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে গেছে।
প্রায় তিন বছর আগে ব্রেনস্ট্রোকের জন্য তার কোমর থেকে নিচের অংশ প্যারালাইসড হয়ে যায়। ঠাকুরপুকুর ব্রজমনি দেব্যা রোডের বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী, এক ছেলে। মেয়ের অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে গেছে। অভিযোগ বাড়ির লোকেরা তাঁকে খেতে দেয় না। শেষ পর্যন্ত ব্যবস্থা নেন ঠাকুরপুকুর থানার বড়বাবু প্রবীর ঘোষাল।
প্যারালাইজড
হয়ে
যাওয়ার
পর
থেকে
বাড়িতে
অত্যাচারিত
তিনি।
বৃদ্ধের
অভিযোগ,
বাড়ির
লোকেরা
তাঁকে
খেতে
দেয়
না।
বিগত
১৫
দিনে
একবারের
জন্য
ভাত
খাননি
তিনি।
শুধুমাত্র
বাড়ির
লোকেরা
বিস্কুট
খাওয়ায়
আর
ঘরে
দরজা
বন্ধ
করে
রেখে
দেয়
।
এই
অবস্থায়
বৃহস্পতিবার
সকালে
কোনওরকমে
এক
রিক্সাওয়ালার
সাহায্য
নিয়ে
ডায়মন্ডহারবার
রোডে
যান।
সেখান
থেকে
ট্যাক্সি
নিয়ে
তিনি
চলে
যান
মুখ্যমন্ত্রীর
বাড়ি।
তার
দুঃখের
কথা
জানানোর
জন্য।
তারপর
মুখ্যমন্ত্রীর
বাড়ি
থেকে
তাঁকে
পাঠানো
হয়
ঠাকুরপুকুর
থানায়।
পুরো
বিষয়টি
ওই
বৃদ্ধ
জানান
ঠাকুরপুকুর
থানার
বড়বাবু
প্রদীপ
ঘোষালকে।
তিনি
বলেন,
১৫
দিন
ধরে
কোনও
খাবার
পাচ্ছেন
না।
শুধুমাত্র
বাড়ির
লোক
তাকে
বিস্কুট
খাইয়েছে।
এই
কথা
শুনে
ঠাকুরপুকুর
থানার
বড়বাবু
নিজে
গিয়ে
তার
জন্য
খাবার
ব্যবস্থা
করেন।
থানার
ভিতরে
বসে
তাকে
মাছ-ভাত
খাওয়ানো
হয়।
বৃদ্ধ
বলেছেন,
ঠাকুরপুকুর
থানার
বড়বাবু
তার
জন্য
যা
করেছে
সেটা
ভগবান
তুল্য।
ঠাকুরপুকুর
থানার
বড়বাবু
সেই
বৃদ্ধকে
অ্যাম্বুল্যান্সে
করে,
থানার
অন্য
পুলিশদের
সঙ্গে
পাঠান
তার
বাড়িতে।
বৃদ্ধ
গোপাল
পালধি
ঠাকুরপুকুর
থানার
বড়বাবুর
ব্যবহারে
খুশি।
তিনি
জানিয়েছেন
ঠাকুরপুকুর
থানার
বড়বাবু
প্রদীপ
ঘোষাল
তাকে
বলেছেন,
কোনও
অসুবিধা
হলে
ফোন
করতে।
পুলিশের
কাছে
এতটা
সাহায্য
পাবে
বৃদ্ধ
তা
ভাবতেও
পারেননি।