কলকাতায় মৃত্যু থাই নাগরিক, সম্ভবত করোনাভাইরাস, আশঙ্কা চিকিৎসকদের

সোমবার কলকাতার এক হাসপাতালে মৃত্যু হল এক থাইল্যান্ডের নাগরিকের। সন্দেহ করা হচ্ছে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

করোনাভাইরাসে মৃত্যু থাইল্যান্ড নাগরিকের
জানা গিয়েছে, তিনি গত বছরের নভেম্বর থেকে কলকাতায় রয়েছেন। শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে তিনি গত ২১ জানুয়ারি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। পেটের সমস্যা, সর্দি ও জ্বর হওয়ায় তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালের এক সূত্রের খবর, ‘১৮ জানুয়ারি থেকে থাইল্যান্ডের নাগরিকের পেটের সমস্যা, সর্দি ও জ্বর হয়। তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ওই ব্যক্তিকে ২১ জানুয়ারি রাত ১১টার সময় জরুরি বিভাগে আসেন এবং তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।' থাইল্যান্ডের দূতাবাসে তাঁর মৃত্যুর খবর পাঠানো হযেছে। মৃতের মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। যদিও সরকারিভাবে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে যে থাইল্যান্ডের ওই ব্যক্তির মধ্যে যে যে লক্ষণগুলি দেখা গিয়েছে তা সবই করোনাভাইরাসের চিহ্ন। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘দরকারি নমুনাগুলি সবই রাজ্য পরিচালিত বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্ট আসা বাকি আছে।'

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যও এই রোগ দেখা দিচ্ছে
ইতিমধ্যেই দিল্লির ডঃ রাম মনোহার লোহিয়া হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন রোগী ভর্তি হয়েছে। তিনজনেরই বয়স ২৪ থেকে ৪৮ বছরের মধ্যে। তাদের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ন্যাশনাল সেন্টার অফ ডিজিস কন্ট্রোলে। পুনেতে এক ব্যক্তি করোনাভাইরাসের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি সম্প্রতি চিন থেকে ফিরেছেন বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার সরকারিভাবে জানানো হয়েছে যে মহারাষ্ট্রে ছ'জন এই রোগে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে। ভারতে করোনাভাইরাসে প্রথম আক্রান্ত হন পাঞ্জাবের মোহালির ২৮ বছরের বাসিন্দা। তিনিও সম্প্রতি চিন সফর থেকে ফিরেছিলেন। নোভেল করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দেওয়ায় তাঁকে হাসপাতালের আলাদা ঘরে রাখা হয় এবং চিকিৎসা শুরু করা হয়।

চিন সফরে নিষেধাজ্ঞা
মঙ্গলবারই চিনের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে যে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন দেশকে চিন সফরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই দেশে একশোরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।