পুলিশি জুলুমের অজুহাত, আচমকা ধর্মঘটে স্বেচ্ছাচারী ট্যাক্সিচালকরা

পুলিশ 'জুলুম' করছে, এই অভিযোগে আচমকা ধর্মঘটে শামিল হলেন ট্যাক্সিচালকরা। ডান-বাম সব ট্যাক্সি ইউনিয়নের অধিকাংশ সদস্য এই ধর্মঘটে অংশ নেওয়ায় বৃহস্পতিবার কলকাতা শহর জুড়ে ভেঙে পড়ল পরিবহণ ব্যবস্থা। অল্প যে ক'জন ট্যাক্সিচালক গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন, তাঁদের ভয় দেখিয়ে বাধ্য করা হয় ধর্মঘটে অংশ নিতে।
কলকাতার রাস্তায় স্বেচ্ছাচারিতা চরমে উঠেছিল ট্যাক্সিচালকদের। যা-তা ভাড়া চাওয়া, কথায় কথায় যাত্রী প্রত্যাখ্যান, মিটারে কারচুপি ইত্যাদি ছিল দস্তুর। এর জেরে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয় রাজ্য সরকার। নো-রিফিউজাল ট্যাক্সি নামানোর পাশাপাশি এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে শুরু করে পুলিশ। বেয়াড়া চালকদের ধরে ধরে জরিমানা আদায় করা শুরু হয়। স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করতে পুলিশি অভিযান জোরদার হতেই বেঁকে বসতে শুরু করেন তাঁরা। আগাম কর্মসূচি না ঘোষণা করে হঠাৎই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে যায় ধর্মঘট। এর ফলে চরম নাজেহাল হন সাধারণ মানুষ।
ট্যাক্সিচালকদের একাংশ দাবি করেন, বিজেপি এই ধর্মঘট ডেকেছে। কিন্তু বিজেপি নেতারা পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এমন কোনও ঘোষণা দল করেনি। ট্যাক্সিচালকরা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ইচ্ছে করে এ সব অপপ্রচার করছে।
পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, "পুলিশি জুলুমের অভিযোগ মিথ্যে। যারা বদমাইশি করছিল, তাদের চিহ্নিত করে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। আমার কাছে খবর আছে, যারা ধর্মঘটে অংশ নিতে চায়নি, তাদের মারধর করা হয়েছে। গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ সব গুন্ডামি বরদাস্ত করব না আমরা। পুলিশকে বলেছি, ব্যবস্থা নিতে। মানুষের দুর্ভোগ ঠেকাতে বেশি করে বাস নামিয়েছে রাজ্য সরকার।"