
সুদীপ ঘনিষ্ঠ তমোঘ্ন বিজেপির জেলা সভাপতি হতেই একহাত তাপসের, তৃণমূলে ফের সংঘাত
সুদীপ ঘনিষ্ঠ তমোঘ্ন ঘোষকে বিজেপি উত্তর কলকাতার সভাপতি করার পরই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তাপস রায়। সম্প্রতি তাপস রায়কে সরিয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে উত্তর কলকাতার সভাপতি করা হয়েছে। তারপর বিজেপির সভাপতি পদে তমোঘ্ন বসতেই তাপস রায় একহাত নিয়েছেন সভাপতিকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফলে তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

তৃণমূলের সাংসদ ও বিধায়কের সংঘাত ফের সামনে
তৃণমূলে বেশ কিছুদিন ধরেই বিদ্রোহী ভূমিকা নিয়েছেন তাপস রায়। প্রতি পদক্ষেপে তিনি দলের সমালোচনায় ব্রতী হচ্ছেন। তাঁকে উত্তর কলকাতার সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই বেশি করে সমালোচনায় সরব হতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সম্প্রতি সুদীপের বিরুদ্ধে তিনি সরব হওয়ায় দলের সাংসদ ও বিধায়কের সংঘাত ফের সামনে চলে এসেছে।

তাপস রায় সুদীপের বিরুদ্ধে সরব বিজেপির সভাপতি প্রসঙ্গে
তাপস রায় আর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অহি-নকুল সম্পর্ক আজকের নয়। সেই সংঘাত আবার সামনে চলে এসেছেন বিজেপির সভাপতি পদে সুদীপ ঘনিষ্ঠ নেতা বসায়। ফের জল্পনা তৈরি হয়েছে তাপস রায়ের মন্তব্যে। এর আগে দল ছাড়ার জল্পনা উসকে দিয়েছিলেন তাপস রায়। সেই বিবাদ ফের প্রকাশ্যে এল তাপস রায় সুদীপের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায়।

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন!
তাপস রায় বলেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। দলনেত্রীকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করেন। তাঁর অভিযোগ, এই তমোঘ্নকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি করার জন্য প্রস্তাব করেছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই তমোঘ্নকে মমতা বন্যো পাধ্যায়ের কাছে নিয়ে গিয়ে টিএমসিপির সভাপতি করার আর্জি জানিয়েছিলেন।

তমোঘ্নের বাড়িতে দুর্গাপুজোয় সুদীপ, শুভেন্দু ও কল্যাণ
তাপস রায়ের আরও অভিযোগ, তমোঘ্নের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। সেই দুর্গাপুজোয় গিয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার শুভেন্দু অধিকারী ও কল্যাণ চৌবেও গিয়েছিলেন তমোঘ্নের বাড়িতে। তিনি বলেন, কে কার ব্যক্তিস্বার্থে কী করছে জানি না। অনেকেই একাধিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। দলনেত্রীকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করেন।

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তমোঘ্নের বাড়িতে যাওয়ার পরই...
এখানে উল্লেখ্য, তমোঘ্ন ও তাঁর বাবা তপন ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করেন। তপন ঘোষ তৃণমূলের সাংসদ তথা উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি সুদীপ বন্যো্তপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব তিনি। তাঁর ছেলেকে বিজেপি উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি করেছে। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্যাণ চৌবের জায়গায় উত্তর কলকাতা বিজেপির সভাপতি হওয়ার কথা ছিল সজল ঘোষের। কিন্তু সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন তমোঘ্নের বাড়িতে যাওয়ার পরই পাশা উল্টোদিকে ঘুরে যায় বলে অভিযোগ।

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তমোঘ্নকে বিজেপিতে পাঠিয়েছেন!
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আবার বলেন, বিজেপির নিয়োগ নিয়ে কোনও কথা বলব না। কিন্তু ও তো সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেঠু বলত। এরপর আদি বিজেপি নেতাদের থুতু ফেলে ডুবে মরা উচিত। তবে আমি মনে করি, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তমোঘ্নকে বিজেপিতে পাঠিয়েছেন। সময় হলে আবার তাঁকে তুলে নেবেন।

তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক টানাপোড়েন, পাল্টা বিজেপির
তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের এই অভিযোগ আমল দিতে নারাজ বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এটা তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক টানাপোড়েন। বিজেপি নিজস্ব নীতিতে চলে। ব্যক্তি প্রভাবের রাজনীতির কোনও জায়গা নেই। দিলীপ ঘোষ বলেন, এমন অনেক উদাহারণ রয়েছে একই পরিবারের সদস্য ভিন্ন রাজনীতি করেন। এটাও তাই। আমার বিশ্বাস বিজেপির সিদ্ধান্ত সঠিক বলে প্রমাণিত হবে।
বিজেপির জেলা সভাপতি পদে তৃণমূল নেতার ছেলে! সুকান্তর সিদ্ধান্তে বিস্ফোরক কুণাল