বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা দিয়ে বিক্ষোভ, বনধের শেষ বেলায় যাদবপুরে বিক্ষোভ বাম ছাত্র সংগঠনের
বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা দিয়ে বিক্ষোভ, বনধের শেষ বেলায় যাদবপুরে বিক্ষোভ বাম ছাত্র সংগঠনের
শেষবেলায় বনধের সমর্থনে মিছিল যাদবপুরে। নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে ১২ ঘন্টার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয় আজ শুক্রবার। সকাল ৬টা থেকে চলছে ধর্মঘট। কিন্তু ধর্মঘটের তেমন প্রভাব পড়েনি বাংলায়। সবকিছুই কার্যত স্বাভাবিক রয়েছে। এই অবস্থায় একেবারে শেষবেলায় যাদবপুরে মিছিল বাম ছাত্র সংগঠনগুলির। এই মিছিল ঘিরে যানজটের আশঙ্কা। ভোগান্তিতে পড়তে পারেন অফিস ফেরত মানুষজন।
অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে যাদবপুর থানার সামনের চার মাথার মোড়
বনধের সমর্থনে এই মিছিল বার করেছে যাদবপুরের ডিওয়াইএফআই সহ বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। যাদবপুর ৮ বি থেকে এই মিছিল যাদবপুর থানা পর্যন্ত যায়। জানা যায়, সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভে বসে যায় বিক্ষোভকারীরা। যার ফলে অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে যাদবপুর থানার সামনের চার মাথার মোড়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী।
চার নম্বর গেটে তালা
বনধের সমর্থনে একদিকে মিছিল অন্যদিকে তালা গেটে। জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটে তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর তা বন্ধ করেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাম যুব সংগঠনগুলি। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা যাচ্ছে।
সকাল থেকেই উত্তেজনা
সচরাচর কলকাতায় রাস্তায় ফুটবল খেলা হচ্ছে তেমন ছবি দেখা যায় না। কিন্তু ধর্মঘট সফল করতে সকাল থেকেই অন্য পথে হাঁটছেন আন্দোলনকারীরা। হাওড়া সহ কলকাতার একাধিক জায়গাতে বনধ সমর্থনকারীদের কলকাতার রাস্তায় ফুটবল খেলতে দেখা গিয়েছে। একেবারে অবরোধ করেই চলছে এই খেলা। একদিকে চলছে ফুটবল খেলা অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের মুখে বিতর্কিত খেলা হবে স্লোগান। হাওড়ার দাশনগরের শানপুর মোড়ে রাস্তায় আটকে ফুটবল খেলতে শুরু করেন বাম কর্মী, সমর্থকরা। পরে পুলিশ গিয়ে বল কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি ডোমজুড় থানার একেবারে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে হাওড়া-আমতা রোডে রাস্তা আটকে ফুটবল খেলা শুরু করেন বাম নেতা-কর্মীরা। খেলার কারনে আটকে যায় বহু গাড়ি। ফলে তীব্র যানজটের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এন্টালি চত্বর।
এদিন সকালে ধর্মঘটের আংশিক প্রভাব পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেও ক্রমশ বদলে যায় কলকাতার ছবিটা। সচল হয় সমস্ত পরিবহণ। সর্বত্রই স্বাভাবিক ছবি ধরা পড়তে থাকে। আর এরপরেই কার্যত কিছুটা পথে নেমেই জোর করে ধর্মঘট সফল করার চেষ্টা করেন ধর্মঘটীরা। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এন্টালি চত্বর। একাধিক গাড়ি ভাংচুর করা হয় বলে অভিযোগ। দোকানপাঠও বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়। যার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে কলকাতার একাংশে। যদিও ধর্মঘট শান্তিপূর্ণ ভাবেই হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সুজন চক্রবর্তী।
বামেদের ডাকা ধর্মঘটকে ইতিমধ্যে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস ও আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। সকাল থেকে ধর্মঘটকে সফল করতে পথে বাম এবং কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। পালটা ধর্মঘটকে ব্যর্থ করতে তৈরি প্রশাসনও। কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ পিকেট করা হয়েছে। এছাড়াও, জেলারও বিভিন্ন জায়গায় চলছে পুলিশের ব্যাপক নজরদারি।
প্রতীকী ছবি
খেজুড়িতে জ্বলল বিজেপি মণ্ডল সভাপতির দুই দোকান, অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস