তামিলনাড়ু থেকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে হাওয়ালার কোটি কোটি টাকা যেত দুবাই!
কলকাতা, ২৫ সেপ্টেম্বর : বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কলকাতার কয়েকটি জায়গায় ও উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে হানা দিয়ে ব্যাগ ভর্তি কোটি কোটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, প্রায় ৭০ কোটি টাকার কাছাকাছি উদ্ধার হয়েছে। যদিও নিশ্চিতভাবে টাকার পরিমাণ এখনও অজানা। কারণ বিপুল অঙ্কের টাকা গুনে শেষ করা যায়নি। [ম্যাচ ফিক্সিং কী করে হয় জানেন? জেনে নিন]
গোটা ঘটনায় সামলে এসে গিয়েছে সেই হাওয়ালা কেলেঙ্কারির যোগ। পুলিশ আধিকারিকদের অনুমান তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গের লটারির টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে পাঠানোর ব্যবস্থা চলছিল এভাবে। [জেনে নিন কীভাবে মালদহ দিয়ে সারা দেশে ছড়াচ্ছে জাল নোট]
এই হাওয়ালা দুর্নীতি অন্তত হাজার কোটি টাকার বলেই আপাতত মনে করছে পুলিশ। যদিও তদন্ত এখনও অনেকটাই বাকি রয়েছে। জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ু ও এরাজ্যের বিভিন্ন লটারি স্কিমের থেকে সংগৃহীত হয়েছে এই টাকা। যা দুবাই পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, প্রথমবারে ৫০ কোটি টাকা ও পরে ফের আরও ৫০ কোটি টাকা একই গন্তব্যে পাঠানোর কথা ছিল দুষ্কৃতীদের। এর মধ্যে সিংহভাগ টাকা তামিলনাড়ুতে রমরমিয়ে চলা অবৈধ লটারি ব্যবসার। সেখান থেকে তা এরাজ্যে এনে রাখা হয়েছিল।
এছাড়া, পশ্চিমবঙ্গের অবৈধ লটারির চক্র যে টাকা তুলেছে বাজার থেকে, সেটাও এখানেই জড়ো করা ছিল। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এরাজ্যে মোট ৪-৫ জনকে গোটা অপারেশনের দায়িত্ব দেওয়া ছিল।
এখানেই শেষ নয়, জানা গিয়েছে, এরাজ্য থেকে টাকা দেশের বাইরে বের করার সবচেয়ে ভালো রুট হল বাংলাদেশ সীমান্ত। সেজন্য রীতিমতো কোম্পানি খুলে হাওয়ালার টাকা বাইরে চালান করার কাজ করা হতো।
গোটা ঘটনার সরাসরি নাম উঠে এসেছে তামিলনাড়ুর কুখ্যাত লটারি ব্যবসার নায়ক সান্তিয়াগো মার্টিনের। তার অবৈধ লটারি ব্যবসার টাকাই এরাজ্য হয়ে হাওয়ালার মাধ্যমে আন্ডারওয়ার্ল্ডের হাতে পৌঁছত বলেই অনুমান তদন্তকারীদের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আন্ডারওয়ার্ল্ডের হাওয়ালা চক্রের মাধ্যমে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়। হাওয়ালা থেকে অবৈধ লটারি চক্র, গোটা অপারেশনের মূল পাণ্ডারা বসে রয়েছে পাকিস্তানে, আগের নানা তদন্তে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।