মুখ্যমন্ত্রী দেশবিরোধী! কে কোথায় যাচ্ছেন সব নজরে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর
দেশের গণতন্ত্র সংকটে, সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধান বিচারপতির পাশাপাশি ছিলেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিও। এব্যাপারে প্রশ্ন
দেশের গণতন্ত্র সংকটে, সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধান বিচারপতির পাশাপাশি ছিলেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিও। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বাইরের দেশের প্রতিনিধির সামনে দেশ সম্পর্কে একথা বলা দেশ বিরোধী।
বিদেশ নীতির বিরুদ্ধে
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সামনে দেশ নিয়ে মন্তব্য করাটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তা দেশ বিরোধীও বটে। বিদেশের অতিথির সামনে এই মন্তব্য দেশের বিদেশনীতির পরিপন্থী। এব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
কে কোথায় যাচ্ছেন সব নজরে
মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির কালী পুজোয় গিয়েছিলেন রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গণেশন। অন্যদিকে চেন্নাইয়ে লা গণেশনের দারার ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটা সময়ে প্রায় প্রতিদিনই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে টুইট করেছেন তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে অস্থায়ী ভাবে লা গণেশনকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দেখা গিয়েছে জগদীপ ধনখড়ের কাছে বারে বারে রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু লা গণেশন রাজ্যপাল হওয়ার পরে তা দেখা যায়নি। কিন্তু রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে মোটেও ভাল চোখে দেখছেন না রাজ্যের বিজেপি নেতারা। এব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ।
রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপালের কাছে দেখা করার জন্য চিঠি দিয়েছেন রাজভবন। রাজভবন থেকে দিনক্ষণ জানানো হলেই বিরোধী দলনেতা দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, কোনও রাজ্য সরকার বিধানসভায় ইডির বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতে পারেন না। যে কাজটি করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
বিচার ব্যবস্থাকে চাপ দেওয়ার অভিযোগ
গত সপ্তাহের কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতান্ত্রিক ক্ষমতা জনগণের একটি অংশের দ্বারা দখল করার অভিযোগ করেছিলেন। যার জেরে ভবিষ্যতে দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। অকারণে হয়রানি ও সম্মানহানির অভিযোগও তিনি করেছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছাড়াও ছিলেন বিদেশি অতিথিরাও। রাজ্যের বিরোধীরা এব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পরোক্ষে বিচার বিভাগকে চাপ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। পাশাপাশি রাজ্যে গণতন্ত্র হাইজ্যাকের অভিযোগ করা হয়েছিল বিরোধীদের তরফে।
লটারিতে এক কোটি টাকার পুরস্কার! ঠিক কার থেকে টিকিট কিনেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, জানতে অভিযান সিবিআই-এর