কমিশন প্রথা তুলে বাসকর্মীদের বেতন! পরিবহন ব্যবস্থায় দিগন্ত উন্মোচন মন্ত্রী শুভেন্দুর
পরিবহন ব্যবস্থায় আলোড়ন তুলতে চলেছেন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এবার বেসরকারি বাস-মিনিবাস চালক-কন্ডাক্টরদের কমিশন প্রথা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন পরিবহনমন্ত্রী।
পরিবহন ব্যবস্থায় আলোড়ন তুলতে চলেছেন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এবার বেসরকারি বাস-মিনিবাস চালক-কন্ডাক্টরদের কমিশন প্রথা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন পরিবহনমন্ত্রী। বেসরকারি বাসের পুরনো অসুখ বেশি যাত্রী-বেশি কমিশন। সেই অসুখ সারাতেই নয়া দাওয়াইয়ের ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার। সৌজন্যে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সৌজন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি পরিবহনমন্ত্রী কমিশন প্রথা তুলে দিয়ে চালক-কন্ডাক্টরদের বেতন দেওয়ার সুপারিশ করেছেন। পথ দুর্ঘটনা ও মৃত্যু রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্যের পরিবহন দফতর। রেষারেষি, বেপরোয়া গতি, দুর্ঘটনা ও তার করুণ পরিণতি মৃত্যু এখন রোজনামচা হয়ে গিয়েছে। তাই এর একটা বিহিত করার দরকার ছিল। কিন্তু বিহিতের উপায় খুঁজতে গিয়েই এই নয়া দাওয়াইয়ের সন্ধান পেয়ে গেলেন পরিবহনমন্ত্রী।
বর্তমান বাসের চালক ও কন্ডাক্টররা বেতনের সঙ্গে দৈনিক কমিশন পান। সারা দিনে বাসে যা টিকিট বিক্রি হয়, তার ১২ শতাংশ কমিশন পান চালক, ৬ শতাংশ পান কন্ডাক্টর। যত বেশি টিকিট বিক্রি, তত বেশি লাভ। তাই যাত্রী তুলতে রেষারেষি চলে একই রুটের বাসগুলির মধ্যে। তারই জেরে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে। সেই ঝুঁকিই কমাতে চাইছেন পরিবহনমন্ত্রী।
রাজ্য মনে করছে, বেশি যাত্রী-বেশি কমিশন এই প্রচলিত ধ্যানধারণা থেকে বেরিয়ে এলে দুর্ঘটনা কমবেই কমবে। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার বাস মালিক সংগঠনের সদস্য ও ট্রাফিককর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বাস-মিনিবাস চালক-কন্ডাক্টরদের কমিশন তুলে দিয়ে বেতন পরিকাঠামো চালুর নির্দেশ দেন।
এই অবস্থায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে বাস মালিক ও কর্মী সংগঠনের সদস্যদের। তবে যাত্রীরা মনে করছেন, একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত। বাসচালক-কন্ডাক্টররা নিজেদের আখেরের জন্য সময়কে কোনও গুরুত্বই দেয় না। যাত্রী তুলতে এত বেশি নজর দেয় যে, শেষমেশ বেপরোয়া গতিতে ছুটতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনে। নিজেরাও এই দুর্ঘটনার বলি হয়, যাত্রীদেরও মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।
[আরও পড়ুন:বিজেপিকে প্রত্যাঘাত, মাহালি দম্পতির পথ ধরে পুরুলিয়ার রাজোয়ার পরিবারও তৃণমূলের পথে]
তবে বাসকর্মীদের অধিকাংশের মত, কমিশন প্রথাই ঠিক। তার কারণ, তাঁদের অনেক বেশি সময় খাটতে হয়। সকাল থেকে রাত ১২টা বেজে যায়। সেই নিরিখে কীসের ভিত্তিতে তাদের বেতন পরিকাঠামো ঠিক হবে? প্রশ্ন তোলেন বাসকর্মীরা। যদি বেতনই তাঁদের দেওয়া হয়, তবে এই বিষয়টি যেন মাথায় রাখা হয়, এখন থেকেই দাবি তুলে দিয়েছেন কর্মীরা।