চুপিসারে CESC এলাকায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি! মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর
আপাতত জ্বালানির দাম বৃদ্ধি স্থগিত থাকলেও, ৫ রাজ্যে ভোটের ফল বেরোতেই অনেকটাই বেড়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। যা নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ হয়েছে। আর যে মুহূর্তে কলকাতা-সহ বাংলায় দাবদাহের পরিস্থিতি, সেই সময় বিদ্যুতের
আপাতত জ্বালানির দাম বৃদ্ধি স্থগিত থাকলেও, ৫ রাজ্যে ভোটের ফল বেরোতেই অনেকটাই বেড়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। যা নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ হয়েছে। আর যে মুহূর্তে কলকাতা-সহ বাংলায় দাবদাহের পরিস্থিতি, সেই সময় বিদ্যুতের (Electric) দাম বৃদ্ধি করল সিইএসসি(CESC)। যা গ্রাহকদের না জানিয়ে করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
সিইএসসি এলাকায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি
সিইএসসি এলাকায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে কর্তৃপক্ষ। সিইএসসি এলাকার গ্রাহকরা এপ্রিল মাসে মার্চের বিল জমা দিচ্ছেন। তবে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি হয়েছে ফেব্রুয়ারি বিল থেকে। দামের সবকটি ধাপেই ইউনিট পিছু ২৯ পয়সা করে দাম বৃদ্ধি করেছে সিইএসসি কর্তৃপক্ষ। উদাহরণ স্বরূপ প্রথম ২৫ ইউনিট বিদ্যুতের জন্য যেখানে জানুয়ারি মাসে কোনও গ্রাহক ইউনিট পিছু দিয়েছেন ৪.৮৯ টাকা, সেখানে ফেব্রুয়ারি মাসের বিলে সেই গ্রাহককেই দাম দিতে হয়েছে ইউনিট পিছু ৫.১৮ টাকা করে।
|
চুপিসারে দাম বৃদ্ধি
এদিন সিইএসসি এলাকায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সিইএসসির বিরুদ্ধে চুপিসারে এই দাম বৃদ্ধির অভিযোগ তুলেছেন। টুইটে তিনি বলেছেন কলকাতা ও সন্নিহিত এলাকায় সিইএসসির ৩২ লক্ষ গ্রাহক রয়েছে। কোনও গ্রাহককেই এই দাম বৃদ্ধির কথা জানানো হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আশীর্বাদেই সিইএসসির এই ধরনের আচরণ বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
সিইএসসির ঘরে বাড়তি ৬০০ কোটি টাকা
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অপর একটি টুইটে বলেছেন, কলকাতায় বছরে বিদ্যুতের চাহিহা প্রায় ২০,০০০ মিলিয়ন ইউনিট। এর সঙ্গে প্রত্যেক ধাপে বৃদ্ধি ০.৩০ টাকা করে ধরলে বাৎসরিক প্রায় ছশো কোটি টাকা বাড়তি ঘরে তুলবে। তবে কোম্পানিরা লাভ ছাড়াও সংস্থার সঙ্গে যুক্ত সুবিধাভোগীরাও এর সুবিধা পাবেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
রাজ্যের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে সরব বিরোধী দলনেতা
সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সব সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের পোশাক নীল-সাদা করা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। রাজ্য সরকার যা খুশি সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নবান্নকে তৃণমূলের পার্টি অফিস হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগও তিনি করেছিলেন। সর্বশেষ ২৪ ঘন্টা আগে কাঁথি পুরসভার নির্বাচনে সিসিটিভিগুলি সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানোর হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, কাঁথি গণতন্ত্রের এই বিপন্নতার ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক হয়ে দাঁড়াবে।