
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের 'উদ্যোগে'ই উঠল শুভেন্দু সহ সাত বিধায়কেরই সাসপেনশন
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সাসপেনশন প্রত্যাহার। তিনি ছাড়াও বাকি ছয় বিধায়কেরও সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সাসপেনশন তোলার জন্য বিজেপির আনা মোশনকে সমর্থন করার জন্য তৃণমূল বিধায়কদের নির্দেশ দেন পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আর এরপরেই সাসপেনশন তুলতে সম্মতি দেয় শাসকদল। আর এরপরেই মোশন পাস করলেন অধ্যক্ষ। আর এরপরেই সাসপেনশন উঠে গেল শুভেন্দু অধিকারী সহ সাত বিধায়কের।

বিধানসভা চালানোর দায়িত্ব অধ্যক্ষ্যর
অন্যদিকে সাসপেনশন উঠতেই ধর্না তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। আর এরপরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আপনাদের হাইকোর্টে যাওয়ার দরকার ছিল না। বারবার বলেছি আপনারা বিধানসভায় আসুন মানুষের কথা বলুন। কিন্তু আপনারা তা না করে বিধানসভার গেটে এসে এমন কিছু বলেন যা মানায় না বলে দাবি তৃণমূল মহাসচিবের। শুধু তাই নয়, বিধানসভা চালানোর দায়িত্ব অধ্যক্ষ্যর। ধন্যবাদ বিচারপতিকে, তিনি বলেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষের কথাই শেষ কথা। শুধু তাই নয়, পরিষদীয় রীতিনীতি মেনে বাংলার হয়ে যাতে বিজেপি বিধায়করা কাজ করেন সেই বার্তাও এদিন দেন পার্থ চট্টপাধ্যায়।

অধিবেশন চলাকালীন নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে।
বলে রাখা প্রয়োজন, গ্রীষ্মকালীন অধিবেশন চলাকালীন নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে। কার্যত বচসা, এরপর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি এবং তৃণমূলরা বিধায়করা। তাতে দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন বিধায়ক আহত হন। কিন্তু এই ঘটনার পরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু-সহ ৭ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিজেপি বিধায়কদের দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁদের বহিস্কার করা হয়। এমনকি তাঁদের মারা হলেও তৃণমূল বিধায়কদের ববিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী।

বিক্ষোভের ডাক দেয় বিজেপি বিধায়করা।
আর সাসপেনশনের প্রতিবাদে লাগাতার বিক্ষোভের ডাক দেয় বিজেপি বিধায়করা। বাদল অধিবেশন তো বটেই, এই অধিবেশনের শুরু থেকেই বিধানসভার বাইরে প্রত্যেকদিন ধর্নায় বসেন সাসপেনডে বিধায়করা। এই অবস্থায় সাসপেনশন তোলার প্রস্তাব আনা হয়। কিন্তু বিধানসভার স্পিকার তা খারিজ করে দেন। ফলে জটিলতা আরও বাড়ে। এই অবস্থায় গত কয়েকদিন আগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিধায়করা। যদিও মামলার শুনানিতে বিষয়টি বিধানসভার অধ্যক্ষকে দেখার কথা জানায় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে উঠে পড়ে লাগেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা। শুভেন্দু-সহ ৭ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করতে বলা হয়। সেই মতো এদিন উঠে যায় সাসপেনশন।