সুষমা স্বরাজের সাহায্য! ভুলবেন না বাংলার নাট্যশিল্পী
বিদেশমন্ত্রী হিসেবে নিজেকে ঘরবন্দি করেননি কিংবা সমাজের উঁচু অংশের মানুষজনের মধ্যে নিজেকে আটকে রাখেননি সুষমা। সাহায্যের হাত বাড়িতে দিয়েছেন যতটুকু পেরেছেন।
বিদেশমন্ত্রী হিসেবে নিজেকে ঘরবন্দি করেননি কিংবা সমাজের উঁচু অংশের মানুষজনের মধ্যে নিজেকে আটকে রাখেননি সুষমা। সাহায্যের হাত বাড়িতে দিয়েছেন যতটুকু পেরেছেন। যেমন বাংলা নাট্যশিল্পী প্রবীর মণ্ডল। পাসপোর্ট করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন। তৎকালীন বিদেশ মন্ত্রী সুষমাকে ইমেল। জবাব এল কিছুক্ষণের মধ্যেই। শিল্পী নিজের মুখেই জানিয়েছেন সেকথা।
উত্তর ২৪ পরগনার টাকির বাসিন্দা নাট্য শিল্পী প্রবীর মণ্ডল আদতে টাকির বাসিন্দা হলেও, থাকেন ভবানীপুরে। ২০১৬ সালে পাসপোর্ট করাতে গিয়েই সমস্যায় পড়েন। প্রবীর মণ্ডল জানিয়েছেন, পাসপোর্টের আবেদন করার পর তাঁকে আইবি থেকে ডেকে পাঠানো হয়। সব কিছুর প্রমাণ নিয়ে তিনি যান। কিন্তু রিপোর্টে বলা হয় তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সেই রিপোর্ট পাঠানো হয় পাসপোর্টের আঞ্চলিক অফিসে। এরপর পাসপোর্টের আঞ্চলিক অফিস থেকে তাঁকে ডেকে পাঠালে, সেখানেও উপস্থিত হল এই নাট্য শিল্পী। সেখান থেকেও বলা হয় নাগরিকত্ব নিয়ে নানা কথা। টাকিতে থেকেও কেন ভবানীপুরের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
শিল্পী তখন পাসপোর্ট আধিকারিকদের জানান, পরিবারে বাবা, মা, ভাই সবার পাসপোর্ট রয়েছে। তিনি এও জানান, কর্মসূত্রে তিনি ভবানীপুরে থাকেন। অপমানিত বোধ থেকে সরাসরি সুষমা স্বরাজকে ইমেলে সব জানান। ১০ মিনিটেই সেই মেলের উত্তর চলে আসে। আর আধঘন্টার মধ্যে পাসপোর্টের আঞ্চলিক অফিস থেকে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় বলে দাবি করেছেন প্রবীর মণ্ডল। সঙ্গে সঙ্গে তিনি যান পাসপোর্টের আঞ্চলিক অফিসে। যে আধিকারিক ঠিকানা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তিনিই বলেন, দুঃখপ্রকাশ করে জানান, সব ঠিক আছে। কোথাও তাদের ত্রুটির কথা ওই অফিসার স্বীকার করে নেন বলে দাবি। প্রবীর মণ্ডলকে জানানো হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন তিনি।
সুষমা
স্বরাজের
মৃত্যুতে
তাই
ব্যক্তিগতভাবে
আহত,
কষ্ট
পাচ্ছেন
প্রবীর
মণ্ডল।
সুষমা
স্বরাজের
মৃত্যু
কোথাও
একটা
শূন্যতা
তৈরি
হল
বলেও
মন্তব্য
করেছেন
প্রবীর
মণ্ডল।
এই
ঋণ
তিনি
কোনও
দিনও
ভুলতে
পারবেন
না
বলে
জানিয়েছেন
তিনি।