দিল্লির ‘দাদা’র হাত নবান্নের ‘অধীশ্বরী’র মাথায়! কে এমন কটাক্ষে বিঁধলেন মোদী-মমতাকে
পদ্মফুল আর ঘাসফুল একই বৃন্তের দুটি কুসুম। দু-দলেরই নীতি এক, দুর্নীতিও এক। ‘দিদি’ ও ‘দাদা’র যে গোপন বোঝাপড়া রয়েছে তা বুঝতেই পারছেন না মানুষ।
রাজ্যের 'দিদি' আর দিল্লির 'দাদা'র লোকদেখানো লড়াই চলছে। আসলে এসবই টিভি সিরিয়ালের মতো। সাধারণ মানুষের আই ওয়াশ করতেই এই বিরোধিতা করা হচ্ছে। আসলে পদ্মফুল আর ঘাসফুল একই বৃন্তের দুটি কুসুম। দু-দলেরই নীতি এক, দুর্নীতিও এক। 'দিদি' ও 'দাদা'র যে গোপন বোঝাপড়া রয়েছে তা বুঝতেই পারছেন না মানুষ।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন একযোগে। তিনি বললেন, 'রাজ্যে অতি সন্তর্পণে দুই দলই সাম্প্রদায়িকতার খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনে যা রাজ্যের পক্ষে খুব ভয়ানক হতে চলেছে।' তিনি বিশ্বাস করেন, বামপন্থীরাই একমাত্র পারেন বিজেপি ও সঙ্ঘের মেরুকরণের রাজনীতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে।
বিভাজনের এই নোংরা খেলা প্রসঙ্গে সূর্যকান্ত প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দলকে 'হারামজাদা' কটাক্ষে বিঁধলেন। একটা সময়ে বিজেপি নেতৃত্ব স্লোগান তুলেছিল- 'দেশে যারা রামজাদা নয়, তারা সকলেই হারামজাদা।' এই স্লোগানকে কটাক্ষ করতে গিয়েই সূর্যকান্ত বলে বসলেন, 'দেশে বিভাজনের রাজনীতির যাঁরা করছেন, তাঁরাই আসলে হারামজাদা।' আর সূর্যবাবুর এই কটাক্ষের প্রত্যুত্তরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'মানুষই ওঁদের বুঝিয়ে দিয়েছে, কারা আসলে হারামজাদা।'
আর বিভাজনের রাজনীতির প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তিনি একাসনে বসালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই দুই দল ধর্মের নামে মোরগের লড়াই লাগিয়ে দিয়ে নিজেরা মজা দেখছে বলে মত পোষণ করেন সূর্যকান্ত। দুর্নীতি মামলায় একের পর এক নোটিশের পরেও নানা বাহানায় হাজিরা এড়ানোর সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, 'দিল্লির দাদার হাত মাথার উপরে না থাকলে নবান্নের অধিশ্বরীর এতদিনে জেলে থাকার কথা ছিল। তা কেন হয়নি, সকলেই তা বুঝে গিয়েছে।'
এদিন চড়া সুরে কেন্দ্র ও রাজ্যের আক্রমণ করে সূর্যবাবু বলেন, 'কেন্দ্রের আগে তাঁরা রাজ্যের অপসারণ চান। সেটা স্পষ্ট করেন তিনি। অনেকে মনে করছেন, দাদাকে হারাতে দিদির হাত ধরা দরকার। অনেকে মনে করছেন, দিদিকে হারাতে দাদার হাত ধরতে হবে। আসলে তারা বুঝতে পারছে না দাদা ও দিদির গোপন বোঝাপড়া রয়েছে। সেই কারণেই কেন্দ্র থেকে দাদাকে হটাতে আগে রাজ্য থেকে দিদিকে সরাতে হবে।'