ভারত বনধের ডাক বামেদেরও, রাহুলকে সমর্থন দিয়ে মোদীকে ‘বিশেষ বার্তা’ সূর্যের
কংগ্রেসের পর ভারত বনধের ডাক দিল বামফ্রন্টও। শুক্রবার সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তোপ দেগে ভারত বনধের ডাক দিলেন।
কংগ্রেসের পর ভারত বনধের ডাক দিল বামফ্রন্টও। শুক্রবার সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর থেকে পাঁচটি বামপন্থী দল একযোগে পৃথকভাবে ভারত বনধের ডাক দেন। এরপর সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তোপ দেগে ভারত বনধের সমর্থনে মোদী সরকারের প্রতিবাদে সামিল হন। এর আগে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ভারত বনধের সমর্থনে সমস্ত বিজেপি বিরোধী দল ও নাগরিক সমাজকে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর সেই ডাকে ইতিমধ্যেই বামেদের সাড়া পেয়ে গেলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা পেট্রোপণ্য, রান্নার গ্যাসের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশজুড়ে ১০ সেপ্টেম্বর সোমবার ভারত বনধ পালনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ১১ কোটি টাকার জ্বালানি লুঠ হয়েছে। পেট্রোল থেকে শুল্ক কমানোরও দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। কংগ্রেস আরও দাবি, পেট্রোল ও ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনতে হবে।
[আরও পড়ুন: পূর্ব রেলের প্রত্যাঘাত মমতার সরকারকে! সামনে এল দুর্ঘটনার ৩৯ দিন আগের চিঠি]
এবার কংগ্রেসের সুরে সুর মিলিয়েই সোমবার ভারত বনধের ডাক দিলেন বামেরাও। কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে পারছে না কেন্দ্রের সরকার। পেট্রোপণ্য, রান্নার গ্যাসের দাম হু-হু করে বাড়ছে। কিন্তু ঘুমিয়ে আছে কেন্দ্র। সাধারণ মানুষের উপর বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। তাই আমাদের প্রতিবাদ। দেশজুড়ে বনধ পালন করেই আমরা প্রতিবাদ জানাব।
[আরও পড়ুন:টাকার মূল্যহ্রাসে ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে দেশ! এসবিআই-এর হিসেবে চাপে মোদী সরকার]
বামেরা বনধের ডাক দিয়ে কংগ্রেসের বনধকে সমর্থন করলেও তৃণমূল তাঁদের ঘোষিত নীতি থেকে সরে আসছে না। তাঁরা ঘোষিত বনধ বিরোধী। তাই এক্ষেত্রে বিজেপির বিরোধিতায় তারা কংগ্রেসের পাশে থাকছে না। তৃণমূল যথারীতি কংগ্রেস ও বামেদের ডাকা বনধকে সমর্থন করছে না। মোদী বিরোধিতায় তাঁরা সরব থাকবেন কিন্তু তা বনধ আকারে নয়, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব। তিনি বলেন, বনধকে সমর্থন করে আমরা আর একটা কর্মনাশা দিন পালন করতে চাই না।
[আরও পড়ুন: সিধুর এক কোলাকুলিতে খুলছে ভারত-পাক সীমান্তের আর এক সিংহদুয়ার]