সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত-শুনানি! আশা-আশঙ্কায় দোলাচলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন
৩ জুলাই মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত মামলার শুনানি। সেই শুনানিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, মামলার আটঘাট বেঁধেই দিল্লি যাচ্ছেন কমিশনের ২ কর্তা।
৩ জুলাই মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত মামলার শুনানি। সেই শুনানিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, মামলার আটঘাট বেঁধেই দিল্লি যাচ্ছেন কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন শান্ডিল্য এবং যুগ্ম সচিব শান্তনু মুখোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাওয়া ৩৪ শতাংশ আসনে ভোটের নির্দেশের সম্ভাবনা নিয়েও আশঙ্কায় রয়েছে কমিশন।
সিপিএম-এর দায়ের করা মামলার জেরে ইমেলে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে বৈধ বলে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এই রায়ের বিপক্ষে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ১০ মে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৩৪ শতাংশ আসনের ফল ঘোষণার ওপরও স্থগিতাদেশ জারি করে বাকি নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তী শুনানি ৩ জুলাই বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে।
সুপ্রিম কোর্ট যদি, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী প্রার্থীদের বৈধতা দেয়, কেবল মাত্র সেক্ষেত্রেই স্বস্তি পেতে পারে রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। অন্যথায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে। দেখা দিতে পারে সাংবিধানিক সংকট।
সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তা যে হয়নি, তা বঙ্গবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন। এমন কী গণনার দিনেও ছাপ্পা মারার কাজ হয়েছে। রয়েছে সেই সব ভিডিও। বিরোধীরা যে সেই সব ভিডিও আদালতে জমা দেবেন, তা বলেই দেওয়া যায়। তবে সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টিকে গ্রাহ্য করলেই সমস্যা বাড়বে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য প্রশাসনের।
৮ মে মঙ্গলবার ই-মনোনয়ন নিয়ে যুগান্তকারী রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সময় জানা যায় সিপিএম-এর তরফে প্রায় আটশো ই-মনোনয়ন দাখিল করা হয়েছে। বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনগুলির স্ক্রুটিনির নির্দেশ দেন। দিনের শেষে বিজেপি জানায় তারা প্রায় দুহাজার ই মনোনয়ন দাখিল করে রেখেছে। ফলে তাদের আবেদনও শোনা হোক। ফলে ই মনোনয়ন নিয়ে বিপাকে পড়ে যায় নির্বাচন কমিশন।