ইংরেজিতে লেখা এফআইআরে ব্যাকরণগত ক্রুটি, ঠাট্টা সুপ্রিম কোর্টে, গুরুং মামলায় মুখ পুড়ল মমতা সরকারের
গুরুংয়ের বিরুদ্ধে করা এফআইআর রিপোর্ট নিয়ে লজ্জায় মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের।
বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক আন্দোলন, ষড়যন্ত্র, বিক্ষোভ, আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ সহ একাধিক ধারায় মামলা করেছে রাজ্য সরকার। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণের অভিযোগ নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন একদা মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। সেই আবেদনের শুনানিতে গুরুংয়ের বিরুদ্ধে করা এফআইআর রিপোর্ট সামনে আসায় লজ্জায় মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের।
সুপ্রিম কোর্টে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে তাতে প্রতিটি ছত্রে ব্যাকরণগত ত্রুটি রয়েছে। যা নিয়ে বিচারপতি ঠাট্টা করতেও ছাড়েননি। হ্যাজ, হ্যাভ বা অন্য ক্রিয়াগুলি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি। ফলে তা পড়ার সময়ে শুনলে মনে হবে পুরো লেখাটাই গন্ডগোল রয়েছে। যা দেখে বিচারপতি বাংলায় কীভাবে ইংরেজি পড়ানো হয় তা নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেন।
বিমল গুরুংয়ের আইনজীবী একেরপর এক এফআইআর আদালতে পড়ে শোনান। সবকটিতেই একই ব্যাকরণগত গন্ডগোল রয়েছে। যার কথা আদালতে বলা হয়। কপির লেখা শুনে বিচারপতি বাংলায় কীভাবে ইংরেজি পড়ানো হয় তা নিয়ে প্রশ্ন করেন।
বিমল গুরুংয়ের আইনজীবী বলেন, সবকটি এফআইআর দেখেই মনে হচ্ছে আগে থেকেই বিমল গুরুংয়ের নামের জন্য জায়গা ফাঁকা রেখে দেওয়া হয়েছিল। ধরে ধরে সবকটিতে নাম বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিমল গুরুং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একটি আন্দোলন করছেন। আর সেজন্যই এভাবে রাজ্য সরকার তাঁকে হেনস্থা করতে চাইছে, মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসাতে চাইছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আর সেজন্যই সর্বোচ্চ আদালতের কাছে গুরুং মামলায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানান বিমল গুরুংয়ের আইনজীবী। পাল্টা রাজ্য সরকারের তরফে সেখানে হাজির ছিলেন আইনজীবী তথা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইনজীবী কপিল সিব্বল। তাঁরা পাহাড়ে হিংসার নানা চিত্র আদালতে জমা দিয়ে হিংসার পরিমাণ ব্যাখ্যা করেন।
যা শুনে আদালত অবশ্য মন্তব্য করেছে যে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করা এক জিনিস আর আইন নিজের হাতে নিয়ে নেওয়া অন্য জিনিস। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা রাজ্যের বিষয়। তা নিয়ে রাজ্যের ভূমিকা কি সেটাও আদালত খতিয়ে দেখছে।
এদিন শুনানি স্থগিত হয়ে গিয়েছে। আবার শুনানি হবে সোমবার। সেদিন রাজ্য সরকারের তরফে এই মামলায় বক্তব্য পেশ করবেন রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা।