তৃণমূল সদস্যদের সঙ্গে অনুপ্রবেশকারীর মতো ব্যবহার! ‘বন্দি’দশা থেকে ফিরে সরব সুখেন্দু
অনুপ্রবেশকারীদের মতো ব্যবহার করা হল আমাদের সঙ্গে। অসমের শিলচর থেকে কলকাতায় ফিরে এমনই অভিযোগ করলেন তৃণমূলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ও কাকলিঘোষ দস্তিদার।
অনুপ্রবেশকারীদের মতো ব্যবহার করা হল আমাদের সঙ্গে। অসমের শিলচর থেকে কলকাতায় ফিরে এমনই অভিযোগ করলেন তৃণমূলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ও কাকলিঘোষ দস্তিদার। সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, যেভাবে অনুপ্রবেশকারীদের পুশব্যক করা হয়, সেভাবেই আমাদের পুশব্যাক করা হল। আমাদের সঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের মতো ব্যবহার করা হল। নিগ্রহ করা হল মহিলা সদস্যদেরও।
তিনি অভিযোগ করেন, বাধা দেওয়া পর আমরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন। সেই ধরনাও দিতে দেওয়া হয়নি। শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয় আমাদের। শিলচর বিমানবন্দরে অসম রাজ্য পুলিশ পরিকল্পনা করে আটকে রেখেছিল বলে অভিযোগ তাঁর। সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের কথায়, কোনওদিন ছ-জন সাংসদ, একজন বিধায়ক ও মন্ত্রী গিয়ে হিংসা ছড়াতে পারে না। অথচ আমাদের বলা হয় ১৪৪ ধারা জারি আছে তাই বের হতে দেওয়া যাবে না বিমানবন্দর থেকে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরে এসে সাসংদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, ভারতে আইনের শাসন আছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন। সেই কারণে অন্যায়ভাবে বিমানবন্দরে বন্দি করে রেখে সাংসদ-বিধায়কদের আটাকানো হল, ভারতে কোনওদিন এমন ঘটনা ঘটেনি।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিজেপি যে দাঙ্গাবাজের দল তা প্রমাণ করল আবার। বিজেপি পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটাল। তবে এখানেই শেষ নয়, প্রতিবাদ চলবে। আমরা আবার অসমে যাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেই স্থির হবে পরবর্তী কর্মসূচি। এদিন শিলচর বিমানবন্দর থেকে কলকাতা ফিরে আসেন তৃণমূলের ছয় প্রতিনিধি দল। শিলচরে রয়ে যান সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর ও অর্পিতা ঘোষ।
[আরও পড়ুন: বিমানবন্দরেই উগরে দিলেন ক্ষোভ, অসম থেকে কলকাতা ফিরল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল ]