বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে গুলি মন্তব্য! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালতে সুকান্ত মজুমদার
বিজেপি নবান্ন অভিযানে অশান্তি। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, পুলিশের গাড়িতে আগুন। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের এক এসিপি-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছিলেন। সেই এসিপিকে দেখতে এসএসকেএম-এ গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান
বিজেপি নবান্ন অভিযানে অশান্তি। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, পুলিশের গাড়িতে আগুন। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের এক এসিপি-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছিলেন। সেই এসিপিকে দেখতে এসএসকেএম-এ গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেন, তিনি সেখানে থাকলে (কপাল দেখিয়ে) গুলি চালাতেন। এই মন্তব্য নিয়ে বিরোধীরা পুলিশকে উস্কানির অভিযোগ করে সমালোচনায় সামিল হয়। এবার সেই বিষয়টি নিয়ে মামলা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
১৪ সেপ্টেম্বর অভিষেকের মন্তব্য
১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযান হাত ভাঙে এসিপি দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দেহের অন্য জায়গাতেও আঘাত লাগে। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে পরের দিন বিকেলে তাঁকে দেখতে যান তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালে দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের পরে অভিষেক বিজেপির পাশাপাশি সিপিএমকেও আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, পুলিশ অনেক সংযম দেখিয়েছে। যদি তিনি সেখানে থাকতেন তাহলে মাথায় গুলি চালাতে বলতেন।
সুকান্ত মজুমদারের অবস্থান
এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা লক্ষ্য করে গুলি মন্তব্যের জন্য মামলা দায়ের করেন। পরে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বিজেপি কর্মীরা ওই মন্তব্য নিয়ে প্রথমে থানায় এফআইআর দায়ের করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যের এমনই অবস্থা কোনও থানাই অবিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর নিতে চায়নি। আর এদিন যখন ব্যাঙ্কশাল আদালতে মামলা করতে যান সেই সময় সরকার পক্ষের আইনজীবী ঝাঁপিয়ে পড়ে বিচারককে প্রভাবিত করতে থাকেন, যাতে এই মামলা গ্রহণ করা না হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি তাঁর মামলা দায়ের করতে পেরেছেন।
সুকান্তর আইনজীবীর ব্যাখ্যা
এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের আইনজীবী কল্লোল মণ্ডল এবং অজিত মিশ্র অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, জোড়াসাঁকো থানায় বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির কর্মীদের। আর অভিষেকের এই মন্তব্যের পরেও পুলিশের ডিসিও কোনও পদক্ষেপ করেননি। সেই কারণেই এফআইআর দায়ের করতে আদালতের অনুমতি চাইছেন তারা।
প্রচারে থাকার চেষ্টা
তৃণমূলের তরফে অবশ্য বিজেপি এই অবস্থানকে কটাক্ষ করা হয়েছে। তারা বলছেন বিজেপি রাজনীতিতে পেরে না উঠে এবার আদালতের আশ্রয় নিচ্ছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, বিজেপি প্রচারে থাকার চেষ্টা করছে। সুকান্ত মজুমদারকে ফের একবার ট্রেনি সভাপতি বলে কটাক্ষ করে তিনি অনুরাগ ঠাকুরের দেশ কো গদ্দারো কো, গুলি মারো শালোকো মন্তব্যের কথা স্মরণ করিয়েছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময়ে দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্যের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
অ্যাডাল্ট ওয়েব সিরিজে সেনাবাহিনীকে অপমানের অভিযোগ! একতা কাপুরের বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা