অমর্ত্য সেন যা বলেছেন ঠিক বলেছেন! মমতা-তৃণমূলকে নিয়ে CPIM-এর অবস্থান স্পষ্ট করলেন সুজন চক্রবর্তী
অমর্ত্য সেন একজন পণ্ডিত মানুষ। তিনি যা মনে করেছেন, তাই বলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ২০২৪-এর নির্বাচনী লড়াই নিয়ে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদের মন্তব্যে অবস্থান স্পষ্ট করলেন সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী
অমর্ত্য সেন একজন পণ্ডিত মানুষ। তিনি যা মনে করেছেন, তাই বলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ২০২৪-এর নির্বাচনী লড়াই নিয়ে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদের মন্তব্যে অবস্থান স্পষ্ট করলেন সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
ঠিক বলেছেন অমর্ত্য সেন
অমর্ত্য সেন যা বিবেচনা করেছেন, তাই বলেছেন। সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, তিনি (অমর্ত্য সেন) বলেছেন, ২০২৪ বিজেপির পক্ষে সহজ হবে না সঙ্গে তিনি বলেছেন আঞ্চলিক দলগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আঞ্চলিক দল হিসেবে তিনি সেইসব দলের নাম উল্লেখ করেছেন, যাদের সংখ্যা সংসদে বেশি।
মমতার প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে, বলেছেন অমর্ত্য সেন। এব্যাপারে সুজন চক্রবর্তী বলেছেন অমর্ত্য সেন ভুল বলেননি। মুখ্যমন্ত্রী হলেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা থাকে। যেমন হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এব্যাপারে তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, গ্র্যাজুয়েট হলেই আইএএস পরীক্ষায় বসা যায়। সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, অমর্ত্য সেনের কথার পরের অংশ গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে তিনি বলেছএন, বিরোধী দলগুলিতে একসঙ্গে করার যোগ্যতা তাঁর আছে কিনা, সেই প্রশ্ন। সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, অমর্ত্য সেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তবে তাঁর (সুজন) মতে, সেই যোগ্যতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেই।
আরএসএস-এর কথায় চলেন
আরএসএস তাঁকে দুর্গা বলে মনে করেন। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন আরএসএস-এর সবাই খারাপ নয়। এই কথোপকখন সবারই জানা। সুজন চক্রবর্তী সেই কথাই এদিন ফের একবার উস্কে দিয়ে বলেছেন, আরএসএস-এর কথা বিজেপি বিরোধী শক্তিকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা উনি করতে পারেন। এর থেকে বেশি কিছু নয়। তিনি আরও বলেছেন, গোটা দেশের মানুষ গোয়া-ত্রিপুরা দেখে বুঝতে পারছে, বিজেপিকে সাহায্য করার জন্য রয়েছে তৃণমূল।
লুঠের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
সুজন চক্রবর্তী এদিন তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে বলেন, সরকারের কোনও তাল-জ্ঞান থাকছে না। দেরার লুঠ করা হচ্ছে। আর সেখানে জড়িয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। সুজন চক্রবর্তী বলেন, সে সরকারি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ১৭ মিনিট বসে থেকে ৩০ কিমি দূর থেকে শীতবস্ত্র আনিয়ে ছিলেন, সেই বৈঠকের খরচ এক কোটি কুড়ি লক্ষ টাকার বেশি। তিনি অভিযোগ করেন, এই টাকার মধ্যে রয়েছে মিড ডে মিলের ২৩ লক্ষ টাকা। রয়েছে এসসি-এসটি দফতরের টাকাও। এইভাবে যত তালগোল পাকানো যাবে, ততই লোপাটের সুবিধা হবে, কটাক্ষ করেছেন বাম নেতা। মিড ডে মিলের খাবারে পোকা থাকার ঘটনাকে বিপজ্জনক বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি।
Weather Update: কুয়াশার দাপট না শীত? বাংলার আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস একনজরে