লালবাজার অভিযানের দিন বিজেপি-র সঙ্গে সেটিং করতে গিয়েছেন মমতা, অভিযোগ সুজনের
সাতদিন আগেই দিল্লি গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন রাজ্যের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের প্রয়োজন হয়নি।
কলকাতায় যখন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে বিজেপির লালবাজার অভিযান চলছে, তখন দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'সেটিং' করতে গিয়েছেন বলে অভিযোগ তুললেন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী।বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, 'বিজেপি-র লালবাজার অভিযান রুখতে গিয়ে মার খেয়েও পুলিশ নির্লিপ্ত থেকেছে। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়েছে, পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, তবু পুলিশের আচরণে অনেক নিয়ন্ত্রণ ছিল।'
তাঁর অভিযোগ, 'এই ঘটনাই প্রমাণ করে তৃণমূল ও বিজেপি-র গোপন আঁতাত অব্যাহত। যখনই রাজ্যে বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানায়, তখনই দিদি দিল্লি গিয়ে মোদীর সঙ্গে সেটিং করে আসেন। নাহলে তিনি হঠাৎ করে এদিন নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎ প্রার্থী হবেন কেন? এর আগেও তো তিনি দিল্লি গিয়েছেন, কই তখন তো রাজ্যের দাবি নিয়ে বৈঠকের প্রয়োজন হয়নি মোদীর সঙ্গে?'
'আসলে এবার লালবাজার অভিযান রয়েছে বলেই দুই ফুল শিবির পরিকল্পনা করে এইসব ঘটিয়েছে। উপর থেকে ছড়ি ঘুরিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী, আর মমতা তাঁর পুলিশকে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রিত অবস্থান নিয়ে বিজেপি-র লালবাজার অভিযানের মোকাবিলা করতে।' সুজনের আরও অভিযোগ, 'তা না হলে মাত্র তিনদিনের মধ্যে এমন আমূল পরিবর্তন হতে পারে না পুলিশের ভূমিকায়!'
বামফ্রন্টের নবান্ন অভিযানের দিন যে পুলিশ বামকর্মীদের উপর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাঘ্রবিক্রম দেখিয়েছিল, বৃহস্পতিবার গেরুয়া অভিযানে সেই পুলিশই বিড়াল হয়ে গেল বলেও মন্তব্য করেছেন সুজন। পুলিশকে লক্ষ করে বোমা নিক্ষেপ করা সত্ত্বেও ২২মে-র রণং দেহি মূর্তিতে দেখা যায়নি পুলিশকে। আবার ওসি, ডিসি-র গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, এতকিছুর পরও বৃহস্পতিবার পুলিশকে কখনই মারকুঠে মেজাজে দেখা যায়নি বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের।