বাঘাযতীন উড়ালপুলে ফাটল, তীব্র যানজট এলাকায়, আতঙ্কে যাত্রীরা
বাঘাযতীন উড়ডালপুলের একাংশ ভেঙে আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়, বুধবার সন্ধেয় আচমকাই উড়ালপুলের একটি বড় চাঙড় খসে গর্ত হয়ে যায়।
বাঘাযতীন উড়ডালপুলের একাংশ ভেঙে আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়। বুধবার সন্ধেয় আচমকাই উড়ালপুলের একটি বড় চাঙড় খসে গর্ত হয়ে যায়। সেসময় উড়ালপুলের নিচে কেউ না থাকায় এড়ানো গিয়েছে দুর্ঘটনা। ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উড়ালপুল মেরামতির কাজ শুরু করেছে কেএমডিএ।
বুধবার সন্ধে নাগাদ বাঘাযতীন উড়ালপুলের গড়িয়াগামী অংশের মাঝামাঝি জায়গায় ২x২ ফিট চওড়া ধস নামে। মূলত নিচে থেকে বড়সড় চাঙড় খসে পড়ার কারণেই গর্ত হয়ে যায় ওপরের অংশে। এমনতি উড়ালপুলের নিচে দিয়ে মানুষ যাতায়াত করেন। সেখানে বেশ কিছু ছোট দোকানও রয়েছে। তবে ওই সময়ে সেখানে কেউ না থাকায় বিপত্তি এড়ানো গিয়েছে। এদিকে ফ্লাইওভারে ধস নামার খবর পেয়েই ছুটে আসে পুলিশ ও কেএমডিএ ইঞ্জিনিয়াররা। ফ্লাইওভারের পাশে মেট্রোর কাজ চলায় মেট্রোর ইঞ্জিনিয়াররাও ছুটে যান ঘটনাস্থলে। বেশ কিছুক্ষণ ফ্লাইওভারটি বন্ধ রাখার পর ধস নামা অংশটি ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে পাশ দিয়ে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
বৃহস্পতিবারও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ফ্লাইওভার মেরামতির কাজ চলে। একপাশ দিয়ে এক এক করে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। পাটুলি থেকে হাইল্যান্ড পার্ক যাওয়ার প্রধান রাস্তা এই বাঘাযতীন ফ্লাইওভার। প্রতিদিন বহু গাড়ি চলাচল করে। এই অবস্থায় উড়ালপুলের ওপর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করায় ব্যস্ত অফিসটাইমে যানজটের সৃষ্টি হয়। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। উল্লেখ্য কয়েক বছর আগেও একবার এই উড়ালপুলের একটি অংশের চাঙড় খসে পড়েছিল। সেবার কয়েকদিন বন্ধ রাখা হয়েছিল উড়ালপুল দিয়ে যানচলাচল।