ট্রেন বন্ধ থাকায় সংক্রমণের আশঙ্কা নিয়ে ভিড় বাসেই যেতে হচ্ছে অফিস! মমতার কাছে বিকল্পের দাবি যাত্রীদের
আজ সকাল থেকেই রাজ্যে বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও সমস্যা মেনে নিচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা। কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যে বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অফিস খোলা রয়েছে সব
আজ সকাল থেকেই রাজ্যে বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও সমস্যা মেনে নিচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা। কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যে বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত অফিস খোলা রয়েছে সবই। আর তা থাকায় ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা সমস্যার মধ্যে।
বহু মানুষ ট্রেনে করেই কাজের সূত্রে কলকাতা বা শহরের অন্যান্য জায়গায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেন। কেউ গ্রাম থেকে সবজি এনে শহরে বিক্রির জন্য আসেন। কেউ জরুরি পরিষেবার কাজে প্রতিদিন ট্রেনে আসেন। সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা করছেন এরা সকলেই।
পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছু স্পেশাল ট্রেন চালানোর দাবিও উঠেছে। কিন্তু তেমন কোনও এখনও ভাবনা নেই রেলের। এমনকি সকাল থেকেই থেমে গিয়েছে লোকাল ট্রেনের চাকা। লোকাল ট্রেনকে শহরতলির লাইফ লাইন বলা হয়। সেই গণ পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
একদিকে অফিস রয়েছে খোলা। দোকান, বাজার আংশিক খোলা। এই অবস্থায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
হাওড়া স্টেশনের মাধ্যমে কলকাতা সহ আশেপাশের জেলায় রোজগার ও অন্যান্য নানান কাজের জন্যে ছুটে যান কয়েক লক্ষ মানুষ।
শহর কলকাতার অনেক অফিসে চাকরি করেন শহরতলির বহু মানুষ। যাঁরা বাড়ি থেকে অফিসে যেতে মূলত লোকাল ট্রেনের ওপরেই নির্ভরশীল। লোকাল ট্রেন বন্ধ! এই অবস্থায় তাঁরা কিভাবে রোজ অফিসে যাবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না।
এক জনৈকা যাত্রীর কথায়, অফিস খোলা রয়েছে। আমাকে অফিস যেতে হবে। লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়াতে খুব কষ্ট করে অফিস যেতে হচ্ছে। আমার আবেদন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন। বিকল্প কিছু ভাবা হোক। করোনার সংক্রমণ যেভাবে বেড়ে চলেছে তা সামলাতে কঠোর পদক্ষেপ আমিও সমর্থন করছি। কিন্তু লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়াতে যেভাবে বাসে ভিড় বেড়েছে তাতে আগামী দিনে সংক্রমণ আরো বাড়ার আশঙ্কা থাকবে বলেও মনে করছেন তিনি।
আরেক নিত্যযাত্রী বলেন, তিনি গরুর দুধ থেকে ছানা তৈরি করে লোকাল ট্রেনে করে হাওড়া হয়ে কলকাতার বড়বাজারে সরবরাহ করেন। লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়াতে গাড়িভাড়া করে হলেও তাঁকে নিয়মিত সরবরাহ চালু রাখতে হবে। যারফলে খরচ অনেকটাই বেড়ে যাবে।
তবে শিয়ালদা স্টেশনে এখনও পর্যন্ত দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। অন্যদিকে, অফিস বা জরুরি জায়গায় পৌঁছতে অনেকেই কোনও স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেন থামলে তাতে উঠে পড়ছেন। তবে শিয়ালদায় থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ছবি চোখে পড়েনি।
তবে অন্যান্য দিনের থেকে একেবারে অন্যরকম ছিল স্টেশন চত্বর। পুরো ফাঁকা। অন্যদিকে প্রতিদিন অফিস টাইমে ভিড় থাকলেও, আজকের ছবিটা আলাদা হাওড়া স্টেশনে।
শুধুমাত্র রেল কর্মীদের জন্য স্পেশাল ট্রেন রয়েছে। হাওড়া স্টেশনের অধিকাংশ গেট বন্ধ। স্টেশন চত্বরে কড়া নিরাপত্তা। মাস্ক পরে, কোভিড বিধি মেনে স্টেশনে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।