ফিরহাদ-শোভনের পর ইডি-জেরার মুখে সুব্রত, নারদকাণ্ডে কী বয়ান দেবেন
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইও তলব করেছিল সুব্রতমকে। তবে প্রশাসনিক বাহানায় তিনি সিবিআইকে এড়িয়ে যান। পর পর দু’বার ইডি তলবের পর তিনি হাজিরা দেন সিজিও কমপ্লেক্সে।
এবার পালা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। ফিরহাদ হাকিম ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পর ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তিনি সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে পৌঁছন। তারপরই জেরা প্রক্রিয়া শুরু করেন ইডি-র তদন্তকারী অফিসাররা।
এর আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইও তাঁকে তলব করেছিল। তবে প্রশাসনিক বাহানায় তিনি সিবিআইকে এড়িয়ে যান। পর পর দু'বার ইডি তলবের পর তিনি এদিন হাজিরা দেন সিজিও কমপ্লেক্সে। পর পর তিনদিন তিন মন্ত্রীকে তলব করেছিল ইডি। ফিরহাদ হাকিমকে দিয়ে শুরু, মাঝে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তৃতীয় দিনে সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এবার আর কেউই ইডি-র ডাক এড়ালেন না। একে একে তিনজনেই নারদ-তদন্তে মুখোমুখি হলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার গোয়েন্দাদের।
২০১৪ সালে নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল স্টিং অপারেশন চালিয়েছিলেন। সেই ভিডিও ফুটেজে সুব্রতবাবুকেও টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। সূত্র মারফৎ জানা যায়, ডেপুটি মেয়র তথা বিধায়ক ইকবাল আহমেদ নারদকর্তাকে পাঠিয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছে। ইতিমধ্যে ইকবাল আহমেদকে জেরাও করেছেন গোয়েন্দারা।
নারদকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ দেখিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতাকে এদিন জেরা করা হচ্ছে। তিনি আদৌ টাকা নিয়েছেন কি না? টাকা নিয়ে্ থাকলে তা কোন খাতে তিনি খরচ করেছেন? টাকা নেওয়ার বদলে তিনি ম্যাথুকে তিনি কোনও সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন কি না? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছে ইডি। সুব্রতবাবুর বয়ান রেকর্ড করে তা অন্যদের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ইডি-র আধিকারিকরা।