আবার কি মেয়র পদে সুব্রত! ‘হেভিওয়েট’ মেয়রের জন্য আইন বদলের জল্পনাও জোর
শোভন চ্যাপ্টার ক্লোজ হওয়ার পর হঠাৎ করেই আলোচনায় এসেছে মমতা মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম। সেইসঙ্গে ভাসছে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নামও।
আবারও কি মেয়রের চেয়ারে দেখা যাবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে? শোভন চ্যাপ্টার ক্লোজ হওয়ার পর হঠাৎ করেই আলোচনায় এসেছে মমতা মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম। সেইসঙ্গে ভাসছে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নামও। কিন্তু তাঁদের মেয়র পদ অলঙ্কৃত করার পিছনে বাধা একটাই- তা হল আইন।
সুব্রত না ফিরহাদ
তবে তৃণমূলের অন্দরে জোর জল্পনা, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, অতীন ঘোষ বা মালা রায় নন। মেয়র পদে ভাসছে দুই মন্ত্রীর নাম। সেরকম হলে আইন পরিবর্তন ঘটিয়ে মেয়র করা হতে পারে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বা ফিরহাদ হাকিমকে। সুব্রত মুখোপাধ্যায় মমতার দলের সবথেকে অভিজ্ঞ। তাঁকে নিয়ে মতদ্বৈত থাকতেই পারে না। আর ফিরহাদ হাকিম এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতীব আস্থাভাজন।
পুর আইনে বাধা
শোভন বিদায়ের আগে থেকেই কলকাতা পুরসভায় জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে মেয়র নির্বাচন নিয়ে। নতুন মেয়র কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। কান পাতলেই এখন সেই আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে রাজ্য সরকার পুরনিগমের আইন বদলাতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। সেরকম হলে বিধানসভায় সংশোধনী আনা হতে পারে পুর-আইনের।
আগে কাউন্সিলর, পরে মেয়র
বর্তমান নিয়মে কাউন্সিলর না হলে মেয়র হওয়ার কোনও নিয়ম নেই। আগে মেয়র হয়ে পরে কোনও ওয়ার্ড থেকে জিতে কাউন্সিলর হয়ে আসবেন, সে নিয়ম নেই। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে পরে বিধায়ক হয়ে আসতে পারেন। কিন্তু মেয়র হয়ে পরে কাউন্সিলর হবেন, তা হবে না। তাই কাউন্সিলরদের মধ্যে থেকেই মেয়র নির্বাচন করতে হবে।
জল্পনায় এগিয়ে যাঁরা
সেই কারণেই জোর জল্পনা, পুরসভার আইন বদল করে কোনও হেভওয়েটকে বসানো হতে পারে মেয়রের চেয়ারে। সেরকম হলে ফিরহাদ হাকিম বা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ই হতে পারেন মমতার তুরুপের তাস। উঠছে অরীপ বিশ্বাসের নামও। এদিকে শোভন ইস্তফা না দিলে বৃহস্পতিবার তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হতে পারে। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত শোভন ইস্তফা দেননি। যদিও শোনা যাচ্ছে, শোভন নিজে উপস্থিত না হয়ে দূত বা ইমেল মারফৎ ইস্তফা দিতে পারেন।
আলোচনায় অনেক নাম
মেয়র পরিষদের লড়াইয়ে ছিলেন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, অতীন ঘোষ এবং মালা রায়। কিন্তু তাঁদের মেয়র করলে সমস্যা হতে পারে বলেই মতে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতে এতদিন পুর কমিশনার মেয়রের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এবার এই পদে অভিজ্ঞ একজনকে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।