এক নেতা আর পুলিশ অফিসারের ওপর ভরসাই দলকে ডুবিয়েছে! মমতার সামনেই বিস্ফোরক শুভেন্দু
বসেছিল পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের খারাপ ফলে পর্যালোচনা বৈঠক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বৈঠকে হাজির জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের খারাপ ফলের পর্যালোচনা বৈঠক বসেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই দলের কাজ নিয়ে কার্যত সমালোচনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিনি বলেন, দলের প্রাক্তন নেতা মুকুল রায় এবং প্রাক্তন পুলিশ অফিসার ভারতী ঘোষের ওপর নির্ভর করে দল বড় ভুল করেছিল।
বাম আমলেই শুভেন্দুকে দায়িত্ব
বাম আমল থেকেই জঙ্গলমহলের সাংগঠনিক দায়িত্ব শুভেন্দু অধিকারীর ওপর দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের দায়িত্বে ছিলেন তিনিই।
ক্ষমতায় আসার পর পরিস্থিতি বদল
২০১১
সালে
তৃণমূল
ক্ষমতায়
আসার
পর
পরিস্থিতির
বদল
হয়।
পশ্চিম
মেদিনীপুরের
পুলিশ
সুপার
করা
হয়
ভারতী
ঘোষকে।
ভারতী
ঘোষ
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়কে
জঙ্গলমহলের
মা
বলে
সম্বোধন
করেছিলেন।
কার্যত
ভারতী
ঘোষকে
দিয়েই
পশ্চিম
মেদিনীপুরের
সংগঠন
দেখতেন
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে,
জানা
যায়
মুকুল
রায়ের
পরামর্শে
বাঁকুড়া
ও
পুরুলিয়ার
সাংগঠনিক
দায়িত্ব
থেকেও
সরানো
হয়
শুভেন্দু
অধিকারীকে।
দায়িত্ব
দেওয়া
হয়
অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
গত
পঞ্চায়েত
নির্বাচনে
জঙ্গলমহলে
বিজেপির
প্রভাব
লক্ষ্য
করা
গেলেও,
এবারের
লোকসভা
নির্বাচনে
এলাকায়
তৃণমূলের
সংগঠনের
করুণ
অবস্থা
সামনে
এসে
পড়ে।
সেখানকার
পাঁচটি
আসনের
মধ্যে
চারটিই
দখল
করে
বিজেপি।
তারপরেই
হুঁশ
ফেরে
তৃণমূল
নেতৃত্বের।
মমতার সামনেই বিস্ফোরক শুভেন্দু
সূত্রের
খবর
অনুযায়ী,
এদিন
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সামনেই
নিজের
ক্ষোভ
উগরে
দেন
শুভেন্দু
অধিকারী।
নাম
না
করে
ভারতী
ঘোষের
কথা
তোলেন
তিনি।
ভারতী
ঘোষের
ওপর
নির্ভর
করা
যে
ভুল
হয়েছিল
তাও
বলেন
শুভেন্দু।
পাশাপাশি
দলের
প্রাক্তন
নেতা
মুকুল
রায়ের
প্রসঙ্গও
তোলেন
শুভেন্দু।
দলের
বহু
দায়িত্ব
ছিল
মুকুল
রায়ের
ওপর।
দুজনেই
এখন
বিজেপিতে
চলে
গিয়েছেন।
সংগঠনের
কঙ্কাল
বেরিয়ে
পড়েছে
জঙ্গলমহলে।
সূত্রের
খবর
অনুযায়ী,
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
শুভেন্দু
অধিকারীর
অভিযোগ
সম্পর্কে
কোনও
মন্তব্য
করেননি।