‘ভাই’কে পাঠিয়ে বিজেপিতে ইট পেতে রেখেছেন ‘দাদা’, অধীরকে ফের কটাক্ষ শুভেন্দুর
আর কোনও পথ নেই, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিজেপিতে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়ে রয়েছেন। সেইজন্যই ভাই ‘হুমায়ুন’ কবীরকে পাঠিয়ে নিজের জন্য ইট পেতে রাখলেন তিনি।
ফের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে নিশানা করলেন পরিবহনমন্ত্রী তথা মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। একেবারে চাঁছাছোলা ভাষায় তিনি অভিযোগ করলেন, আর কোনও পথ নেই, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিজেপিতে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়ে রয়েছেন। সেইজন্যই ভাই 'হুমায়ুন' কবীরকে পাঠিয়ে নিজের জন্য ইট পেতে রাখলেন তিনি।
২১শে জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে বহরমপুরের সাংসদকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, আগামীদিনে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাবেন অধীর চৌধুরী। সেই কারণেই রেজিনগরের প্রাক্তন বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে তিনি গেরুয়া শিবিরে পাঠিয়েছেন। নিজের পথ পরিষ্কার করে রাখতেই তাঁর এই উদ্যোগ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী।
মুকুল রায়ের বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বিজেপিতে যোগ নিয়ে জল্পনা চলছে। সেই জল্পনা মাঝেমধ্যেই উসকে দেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু মুর্শিদাবাদে এলেই অধীরকে আক্রমণ করার এটাই প্রধান পন্থা তাঁর। আর প্রতিবারই অধীর চৌধুরী সেই জল্পনায় জল ঢেলেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিজেপিতে তিনি যোগ দিচ্ছেন না। তবু অধঝীরকে নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। একের পর এক ঘটনা পরম্পরায় নিত্যনতুন জল্পনা চলছেই।
সোমবার বহরমপুরের রবীন্দ্রসদনে ২১শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় শুভেন্দু বলেন, মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস বলে কিছু থাকবে না। একক দল হিসেবেই থাকবে তৃণমূল। মুর্শিদাবাদের তিনটি লোকসভা আসনই দখল করবেন তাঁরা। অধীর চৌধুরী নিজের আসনে হারবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। কারণ বর্তমানে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে কেউ নেই।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, যেদিন থেকে অধীর চৌধুরী সিপিএমের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছেন, সেদিন থেকেই কংগ্রেসের এই হাল। অধীরবাবু বিধায়কদের নিজের দলে আটকে রাখতে পারছেন না। আগামীদিনে আরএ বেশ কিছু বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসছেন। উল্লেখ্য, এদিনই চার কংগ্রেস বিধায়কের তৃণমূলে যোগদান করার কথা ছিল। কিন্তু পরে মত পরিবর্তন করে তাঁরা ২১ জুলাই যোগদান করবেন বলে জানান। এদিন বহরমপুর পুরসভাও বিরোধীশূন্য করার ডাক দেন শুভেন্দু অধিকারী।