পথ দেখাচ্ছে যাদবপুর, করোনা মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরেই ‘সেফ হোম’ তৈরির দাবি পড়ুয়াদের
পথ দেখাচ্ছে যাদবপুর, করোনা মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরেই ‘সেফ হোম’ তৈরির দাবি পড়ুয়াদের
করোনাকালে যখন পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অভাবে ধুঁকছে গোটা দেশ তখন গত বছর মহামারি পর্বের শুরু থেকেই কখনও স্বল্প দামের মাস্ক, তো কখনও স্যানিটাইজার তৈরি করে আম-আদমির পাশে দাঁড়িয়েছে যাদবপুরের পড়ুয়ারা। এদিকে চলতি বছরেও দ্বিতীয় পর্বের করোনা সংক্রমণ শুরু পর থেকে করোনা যুদ্ধে মাঠে নেমেছে যাদবপুর। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি পরিষেবার জন্য অ্যাপ তৈরি করে সকলকে চমকে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই দুই পড়ুয়া। এমতাবস্থায় এবার করোনা মোকাবিলায় ক্যাম্পাসের মধ্যেই সেফ হোম তৈরির দাবি তুলল ছাত্র-ছাত্রীরা।
যাদবপুর কমিউনের তরফে চিঠি উপাচার্যকে
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে যাদবপুরের পড়ুয়াদের উদ্যেগেই তৈরি হয় 'যাদবপুর কমিউন'। সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দূরত্বকে দূরে সরিয়ে রেখে যাতে অংশ নেয় কমবেশি প্রায় সমস্ত ছাত্র সংগঠনই। বর্তমানে সেই কমিউনের পক্ষ থেকেই ক্যাম্পাসের ভিতরে সেফ হোমের দাবি জানিয়ে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে যাদবপুরের অন্দরে। এমনকী পড়ুয়াদের এই দাবিকে সাধুবাদও জানিয়েছেন অনেক শিক্ষাবিদেরা।
ঠিক কী দাবি করছেন পড়ুয়ারা ?
এদিকে করোনাকালীন পরিস্থিতির জেরে প্রায় ১ বছরের বেশি সময় ধরে পঠনপাঠন বন্ধ রয়েছে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাময়িক ভাবে প্রশাসনিক বিভাগ খোলা থাকলেও অন্যান্য কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে যাদবপুরেও। পড়ুয়াদের দাবি, কাজে লাগছে না এমন ক্লাস রুম, অব্যবহৃত ঘর গুলিকে সেফ হোমের জন্য ব্যবহার করুক বিশ্ববিদ্যালয়। প্রয়োজনে পরামর্শ করা হোক সরকারের সঙ্গে। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়ে এসে সেফ হোম পরিচালনা করার দাবিও তোলা হয়েছে।
কোথায় তৈরি হতে পারে আইসোলেশন ওয়ার্ড ?
অন্যদিকে যাদবপুরের অসংখ্য প্রাক্তনী, যাদবপুর কমিউনের সদস্য সহ করোনাকালে কাজ করা একাধিক অভিজ্ঞ চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীদের মতামত নিয়ে সেফ হোমের জন্য খসড়া পরিকল্পনাও তৈরি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে থাকা টেক্যুইপ বিল্ডিংয়ে আগামী ৫ মে-র মধ্যে যাবতীয় সুবিধা সহ সেফ হোম, আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির উপরেই বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।
সেফ হোম তৈরি হলে অগ্রাধিকার পেতে পারেন কারা ?
তবে আগামীতে সেফ হোম তৈরি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কর্মী, অধ্যাপক, গবেষক সহ সমস্ত সাধারণ পড়ুয়া যাতে এর সুবিধা পায় তাও নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে পড়ুয়ারা। সূত্রের খবর, এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকেও বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। অন্যদিকে এই দাবির সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত চুক্তি ভিত্তিক কর্মীকে বিনামূল্য মাস্ক, স্যানিটাইজার, গ্লাভস, পিপিই কিট দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে।