'নগ্ন' করে নিগ্রহের পিছনে 'মধুভাণ্ড'! হিসেব জানলে চমকে উঠবেন
সেন্ট পলস কলেজের টিএমসিপি ইউনিটের এক সদস্য স্টুডেন্টস এইড ফান্ড-এর হিসেব চেয়েছিলেন।যার জেরেই তাকে নগ্ন করে নিগ্রহ করা হয়। কলেজে কলেজে এই স্টুডেন্টস এইড ফান্ডকে ঘিরে চক্র গড়ে উঠেছে তার হিসেবটাও কম নয়
সেন্ট পলস কলেজের টিএমসিপি ইউনিটের এক সদস্য স্টুডেন্টস এইড ফান্ড-এর হিসেব চেয়েছিলেন। যার জেরেই তাকে নগ্ন করে নিগ্রহ করা হয়। কলেজে কলেজে এই স্টুডেন্টস এইড ফান্ডকে ঘিরে চক্র গড়ে উঠেছে তার হিসেবটাও কম নয়। সারা বছর জুড়ে চলে লক্ষ লক্ষ টাকার হাত বদল। পিছনে ছাত্র নেতাদের একাংশ।
অনেক কলেজেই অন লাইনে ভর্তি বন্দোবস্ত হয়েছে। কিন্তু অনলাইনে ভর্তি হলেও, টাকা জমা দিতে কলেজের কাউন্টারে যেতেই হচ্ছে। আর কলেজের ক্যাশ কাউন্টারের সামনেই বিল বই হাতে বসে কলেজের ছাত্র সংসঠনের সদস্যরা। দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের সাহায্যের জন্য স্টুডেন্টস এইড ফান্ড-এর নামে টাকা তোলার কাজ চলছে।
জানা গিয়েছে, সেন্ট পলস কলেজে বছরে দুবার এই টাকা তোলা হয়। প্রত্যেক ছাত্রের কাছ থেকে ৩৫০ টাকা করে তোলা হয়। যদি কলেজের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২৫০০ হয়, তাহলে বছরে এই খাতে তোলা হয় (২x৩৫০x২৫০০) ১৭,৫০, ০০০ টাকা। কলেজ সূত্রেই জানা গিয়েছে, এর মধ্যে বড় জোড় খরচ হয় দেড় লক্ষ টাকা। থেকে যায় ১৬ লক্ষ টাকার মতো। তবে এই কলেজের ক্ষেত্রে এই টাকা রাখার জন্য কোনও অ্যাকাউন্ট নেই। কম বেশি অবশ্য প্রত্যেকটি কলেজেই একই অবস্থা।
এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কলেজের ফেস্ট/ সোশ্যাল বাবদ টাকা। কলকাতার কলেজগুলির ছাত্র সংসদ প্রতিবছর কলেজের অনুষ্ঠান বাবদ ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পেয়ে থাকে। এর মধ্যে কত টাকা সঠিকভাবে খরচ হয়, সেই নিয়েও প্রশ্ন ওঠে প্রতিবছর।
ফলে পড়াশোনার থেকে এই ধরনের কাঁচা টাকার ওপর লোভ থাকে ছাত্র সংসদের সঙ্গে যুক্ত ছাত্রছাত্রীদের একাংশের। তাই কলেজ থেকে পাশ করে গেলেও কলেজের ছাত্র সংসদের সঙ্গে যুক্ত থেকে যায় বছরের পর বছর ধরে। একই সঙ্গে এই ধরনের ফান্ড নিয়ন্ত্রণে বহিরাগতদেরও আগমণ ঘটে কলেজে কলেজে। আর নিজের দলের ছাত্র সংগঠনের যদি কেউ ফান্ডের হিসেব চায়, তখন এই ধরনের নিগ্রহের ঘটনাও ঘটে।