ভাগাড়ের মাংসের ৪০ % যেত পুরসভার 'নাকের ডগায়'! ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে আর কী বিস্ফোরক তথ্য, জেনে নিন
ভাগাড় মাংস কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ হেফাজতে থাকা ভাগাড় মাংস কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত বিশ্বনাথ ঘড়ুই যে কারবার করতেন তার প্রায় ৪০ শতাংশই যেত নিউ মার্কেট এলাকায়।
ভাগাড় মাংস কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ হেফাজতে থাকা ভাগাড় মাংস কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত বিশ্বনাথ ঘড়ুই যে কারবার করতেন তার প্রায় ৪০ শতাংশই যেত নিউ মার্কেট এলাকায়। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় অভিযুক্তকে নিয়ে তল্লাশির পর এবার তাকে নিয়ে উত্তরবঙ্গেও যেতে যায় বিশেষ তদন্তকারী দল।
ভাগাড় কাণ্ড নিয়ে তদন্তের জন্য ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের তরফে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। এই বিশেষ তদন্তকারী দলই ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ কিংবা পরবর্তী পর্যায়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিতে সামিল হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে পাওয়ার পর ভাগাড় মাংস কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত বিশ্বনাথ ঘড়ুইকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা। সোমবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কলকাতার নিউমার্কেট এলাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে বিশ্বনাথ জানিয়েছে, তার ব্যবসায় প্রায় ৪০ শতাংশ ছিল এই নিউ মার্কেট-পার্কস্ট্রিট এলাকায়। সেখানকার বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁয় এই মাংস সরবরাহ করা হত। যে যে ব্যবসায়ীকে সরবরাহ করা হত তাদের চিহ্নিত করতে বিশ্বনাথ ঘড়ুইকে নিয়ে এই তল্লাশি। তবে এই সব ব্যবসায়ীর মধ্যে এক ব্যবসায়ী পলাতক বলে জানা গিয়েছে। তার দোকন চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল।
কলকাতা কর্পোরেশনের নাকের ডগায় এই ব্যবসায় প্রভাবশালী যোগ রয়েছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
বিশ্বনাথ ঘড়ুইকে নিয়ে ভবানীপুরের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কেও যান তদন্তকারীরা। সেখানে নামে বেনামে থেকে দুটি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয় বলে জানা গিয়েছে। দুই অ্যাকাউন্টে প্রায় ৯৪ লক্ষ টাকা রয়েছে।
বিশ্বনাথ ঘড়ুই শুধু নন, তার একাধিক আত্মীয়ও এই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। কেননা আত্মীয়দের সম্পর্কে জানতে পুলিশ দেখেছে অনেকেই এই মুহুর্তে বাড়িতে নেই।