হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থা স্থিতিশীল বলে খবর
নতুন করে ফের করোনার সংক্রমণ! নতুন স্ট্রেনের কারণে ফের বাড়ছে শঙ্কা। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ওয়েব রুখতে অনেকেই নতুন করে লকডাউন জারি করার বিষয়ে বলতে শুরু করেছেন। এই অবস্থায় গত কয়েকদিন আগেই করোনাতে আক্রান্ত হন রাজ্যর মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

হাসপাতালে ভর্তি করা হল মন্ত্রীকে
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। এরপর থেকে বাড়িতেই ছিলেন বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা। কিন্তু ধীরে ধীরে পরিস্থিতি কিছুটাব অবনতি হয় বলেই সূত্রের খবর। আর তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চান না ডাক্তাররা। আর সেই কারণে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রীকে। হাসপাতালেই শুরু হয়েছে চিকিৎসা।

শোভনদেবের অবস্থা স্থিতিশীল বলেই খবর
হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও মন্ত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বয়স প্রায় ৭০ পেরিয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে হাইপারটেশনে ভোগেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেটাই ভাবাচ্ছে ডাক্তারদের। চিকিৎসক সৌতিক পাণ্ডা, সপ্তর্ষি বসুর তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি। ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞ অঙ্কন বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁকে পর্যবেক্ষণ করছেন। সূত্রের খবর, কো-মর্বিটি থাকার জন্যে বিশেষভাবে ডাক্তাররা মন্ত্রীর নজর রাখছেন বলে জানা যাচ্ছে।

নেই জ্বর, সজাগ রয়েছেন মন্ত্রী
বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ স্বাস্থ্য বুলেটিন দেওয়া হয়। সেখানে জানানো হয়েছে যে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের জ্বর নেই। যথেষ্ট সজাগ রয়েছেন তিনি। সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক। সজাগ রয়েছেন তিনি। এমনকি বাড়তি অক্সিজেনও দিতে হয়নি। তবে বেশ কিছু পরীক্ষা করা হচ্ছে তাঁর। চিন্তার কিছু নেই বলেই জানাচ্ছেন ডাক্তাররা। তবে পরিস্থিরতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। অবস্থা বুঝে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।

এক নজরে বাংলায় করোনা আক্রান্তের তথ্য
মঙ্গলবার সন্ধের স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, একদিনে এ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮৯ জন। বাংলার মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার ৯৯ জন। ইতিমধ্যে এরাজ্যে কোভিডমুক্ত হয়েছেন ৫ লক্ষ ৬০ হাজার ৪৪৭ জন। এঁদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাজয়ী হয়েছেন ২২৮ জন। যা দৈনিক সংক্রমিতের চেয়ে অনেকটাই বেশি। ফলে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের তথ্য বলছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত এ রাজ্যে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৯৯ জন। এ রাজ্যের সুস্থতার হার অনেকটাই বেশি। মঙ্গলবারের রাজ্যের সুস্থতার হার ৯৭.৬২ শতাংশ।