'কোন মহার্ঘ ভাতা বকেয়া নেই', অনুদান মামলায় হলফনামায় চাঞ্চল্যকর দাবি রাজ্যের
রাজ্যের কাছে কোন মহার্ঘ ভাতা বকেয়া নেই। সেই জন্যই আদালতে রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছে। সেই মামলা এখন বিচারাধীন। পুজো অনুদান মামলায় রাজ্যের তরফে দেওয়া হলফনামাতে এমনটাই জানানো হল। ফলে আদালতের নির্দেশের পরে রা
রাজ্যের কাছে কোন মহার্ঘ ভাতা বকেয়া নেই। সেই জন্যই আদালতে রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছে। সেই মামলা এখন বিচারাধীন। পুজো অনুদান মামলায় রাজ্যের তরফে দেওয়া হলফনামাতে এমনটাই জানানো হল। ফলে আদালতের নির্দেশের পরে রাজ্য তার কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ব্যাপারে উদাসীন এই বক্তব্য যুক্তিসঙ্গত নয় বলে আদালতে জোরাল সওয়াল সরকারি আইনজীবীর।
সামনেই দুর্গাপুজো। আর এই পুজোতে প্রায় ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রায় ৪৩ হাজার পুজোকে এই অনুদান দেওয়া হবে। ফলে বিশাল অঙ্কের একটা খরচ এই জন্যে ধার্য করা হয়েছে। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই একের পর এক মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্ট। যেখানে রাজ্য সরকারি কর্মী ডিএ বাকি সেখানে এই অনুদান কেন? সে প্রশ্ন তুলেও মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
আজ মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। সেখানে রাজ্যের তরফে দেওয়া হলফনামাতে স্পষ্ট জানানো হয় যে রাজ্যের কাছে কর্মীদের কোনও ডিএ বাকি নেই। শুধু তাই নয়, কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা এবং পূজার অনুদান দুটি সম্পূর্ন আলাদা বিষয় বলেও এদিন সওয়াল সরকারি আইনজীবীর।
শুধু তাই নয়, দুটিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে অভিযোগ করা যায় না বলেও সওয়াল তাঁর। আইনজীবী জানান, রাজ্য সরকার পূজা কমিটিগুলোকে বিদ্যুৎ বিলে কোন ছাড় দিচ্ছে না। ফলে মামলার কোনও গ্রহনযোগ্যতা নেই বলেও আদালতে সওয়াল করা হয় রাজ্যের তরফে। অবিলম্বে বিপুল আর্থিক জরিমানা করে মামলা খারিজ করা উচিত বলেও মনে করেন আইনজীবী।
সওয়ালে জানান, এই মামলা করার কোন গ্রহণযোগ্য অবস্থান মামলাকারীর নেই। আর তা বলতে গিয়েই আইনজীবী জানানা, পুজো সংক্রান্ত অনুদানের জন্য ২০১৮ সাল থেকেই "পুলিশ" অনুশীর্ষে (Sub Head) অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে। সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকার মনে করলে জনগণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারে। এতে কোন বাধা নেই বলেও মনে করেন রাজ্যের তরফে আইনজীবী।
উল্লেখ্য, ইউনেস্কোর তরফ থেকে দুর্গাপূজাকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে। এটা রাজ্যের সঙ্গে দেশের জন্যও গর্বের বিষয়। আর এই বিষয়টি উল্লেখ করেই সরকারি আইনজীবী জানান, সংবিধানের 51A ধারা অনুযায়ী হেরিটেজ রক্ষা করার দ্বায়িত্ব দেশের প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। এবং রাজ্য সরকারের কাছে প্রত্যাশা করা হয় যেন তারা এগুলিকে সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে বলেও মিন্তব্য আইনজীবীর।
তাঁর দাবি, দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে উৎসবকে মসৃণ ভাবে পরিচালনা করার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়। কোন নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ হয় না বলে দাবি।