ভোট সুরক্ষায় কত বাহিনী, রাজ্যের রিপোর্টে বিস্ময় প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি
পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করল রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রস্তাব, প্রতি বুথে একজন সশস্ত্র পুলিশ ও একজন লাঠিধারী পুলিশ থাকবে।
পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রস্তাব দেন প্রতি বুথে একজন সশস্ত্র পুলিশ ও একজন লাঠিধারী পুলিশ থাকবে। মোট এক লক্ষ ৫৩ হাজার ৫০০ পুলিশ দেবে রাজ্য সরকার। তার মধ্যে সশস্ত্র পুলিশ মাত্র ৭৩ হাজার ৫০০। এখানেই বিচারপতির প্রশ্ন, এই নিরাপত্তা কি যথেষ্ট বলে মনে করেন? এই বাহিনী কি অপ্রতুল নয়? আপনারা কি কেন্দ্রীয় বাহিনী নেওয়ার কথা ভাবছেন?
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোট সুরক্ষায় সিভিক ভলেন্টিয়ার-এনভিএফ! রাজ্যের পরিকল্পনায় বিস্মিত আদালত]
রাজ্য সরকারকে নিরাপত্তা বিষয়ক ব্যবস্থা প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেইমতো এদিন হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। রাজ্যের রিপোর্ট জানানো হয়েছে, একদিনে ভোট করতে মোট ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫০০ পুলিশকে ব্যবহার করবে রাজ্য। তার মধ্যে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ ৭১ হাজার ৫০০। লাঠিধারী পুলিশ থাকবে ৮০ হাজার। ভিন রাজ্যের পুলিশ ২ হাজার। লাঠিধারী পুলিশের মধ্যে থাকবে সিভিক ভলেন্টিয়াররা। এবার সিভিক ভলেন্টিয়ারদেরও ভোটের কাজে লাগাতে চাইছে রাজ্য। রাজ্যে জানিয়েছে এই বাহিনীর মধ্যে ১০ হাজার এসআই-এএসআইও রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ভাগাড়-কাণ্ডে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন মমতার, পঞ্চায়েতের আগে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ ]
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি বুথে ১ জন সশস্ত্র ও ১ জন লাঠিধারী পুলিশ ব্যবহার করা হবে। এবার মোট ৪৭ হাজার ১০০ বুথে ভোট হচ্ছে। সেই নিরিখে বুথে বাহিনী প্রয়োজন হচ্চে ৯২ হাজার ২০০। বাকি বাহিনীকে রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এই রিপোর্টের পরই প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এই বাহিনী সংখ্যা কী পর্যাপ্ত বলে মনে করছে রাজ্য সরকার? রাজ্য কি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিতে চায়? সে কথাও জিজ্ঞাসা করা হয়।
এখানে উল্লেখ্য, গতবার পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল মোট পাঁচ দফায়। এই পাঁচ দফায় মোট ২ লক্ষ ৫৭ হাজার পুলিশকে ব্যবহার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হয়েছিল ৮২ হাজার। সেই নিরিখেই এবার হাইকোর্ট নিজে থেকে জানাল কেন্দ্রীয় বাহিনীর কথা।
রাজ্য জানিয়েছিলেন পাঁচ রাজ্য থেকে বাহিনী নিয়ে আসা হবে। কিন্তু সেই সংখ্যা মাত্র ২ হাজার। অর্থাৎ কোনও রাজ্য থেকেই সাড়া পায়নি নবান্ন। এই অবস্থায় রাজ্য ভরসা রেখেছে সিভিক পুলিশের উপর। যাদের ভোট করার কোনও অভিজ্ঞতাই নেই। অভিজ্ঞতা নেই কারারক্ষী-বনরক্ষীদেরও। এই অবস্থায় অনভিজ্ঞ বাহিনী দিয়ে কী করে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব পঞ্চায়েত ভোট, সে প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
[আরও পডুন:সিপিএমের দেখানো পথে এবার বিজেপিও, অনলাইন মনোনয়ন গ্রহণের আর্জি হাইকোর্টে]