ভার বেড়েছে, বেড়েছে গুরুত্বও, দ্বিতীয় হুগলি সেতু নিয়ে নয়া পরিকল্পনা রাজ্যের
দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ গড়ে তোলার মূল উদ্দেশ্যই ছিল ঐতিহ্যশালী হাওড়া ব্রিজের উপর চাপ কমানো। সেই লক্ষ্যেই দ্বিতীয় হুগলি সেতু সংস্কারের পরিকল্পনা রাজ্যের।
রাজ্যের সচিবালয় কলকাতা থেকে গঙ্গা ডিঙিয়ে পাড়ি দিয়েছে হাওড়ায়। রাজ্যের নয়া সচিবালয় নবান্নে যাওয়ার সহজ পথ হল দ্বিতীয় হুগলি সেতু। এই ক'বছরেই হাওড়া ব্রিজের বিকল্প এই সেতু দিয়ে যান চলাচল প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। তাই তড়িঘড়ি বিদ্যাসাগর সেতু তথা দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের সংস্কার সাধনের পরিকল্পনা নিল রাজ্য।
সোমবার
নবান্ন
সূত্রে
জানানো
হয়েছে,
দ্বিতীয়
হুগলি
সেতুর
আমূল
সংস্কারের
জন্য
বরাদ্দ
করা
হয়েছে
১০০
কোটি
টাকা।
প্রায়
২৫
বছর
বয়স
হয়ে
গিয়েছে
এই
সেতুর।
কোনওরকম
সংস্কারমূলক
কাজ
করা
হয়নি।
অথচ
দ্বিতীয়
হুগলি
সেতুর
গুরুত্ব
বৃদ্ধি
পেয়েছে।
এখন
প্রায়
১
লাখ
গাড়ি
চলাচল
করে।
পাঁচ
বছর
আগেও
এই
সেতু
দিয়ে
৫০
থেকে
৬০
হাজার
গাড়ি
চলাচল
করত।
দ্বিতীয়
হুগলি
ব্রিজ
গড়ে
তোলার
মূল
উদ্দেশ্যই
ছিল
ঐতিহ্যশালী
হাওড়া
ব্রিজের
আয়ূ
বৃদ্ধি
করা।
হাওড়া
ব্রিজের
উপর
চাপ
কমানোর
লক্ষ্যেই
দ্বিতীয়
হুগলি
সেতু
গড়ে
তোলা
হয়।
তারপর
থেকে
দক্ষিণবঙ্গের
সঙ্গে
রাজধানী
কলকাতার
যোগাযোগের
মূল
মাধ্যম
হয়ে
ওঠে
বিদ্যাসাগর
সেতু।
তার
উপর
বন্দরের
পণ্য
পরিবহণের
চাপও
নিতে
হয়
এই
ব্রিজকে।
এখন আবার নবান্নে সচিবালায় স্থানান্তরের ফলে দ্বিতীয় হুগলি সেতু গুরুত্ব অসীম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এইসব কারণেই দ্বিতীয় হুগলি সেতুর সংস্কারের প্রয়োজন। এবং তা চটজলদি শুরু করতে চাইছে রাজ্য সরকার। সেই কারণেই এই সংস্কারের জন্য বরাদ্দও করা হয়েছে। বিদেশি সংস্থাকে কাজেক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, হুগলি নদীর উপর এই সেতু তৈরি হয় ১৯৯২ সালের ১০ অক্টোবর। এশিয়ার অন্যতম ঝুলন্ত এই সেতু তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ৩৮৮ কোটি টাকা। এবার সংস্কারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা।