কেন্দ্রের সমহারে কি মিলবে মহার্ঘভাতা! স্যাটেও জয়ের প্রত্যাশী রাজ্য সরকারিকর্মীরা
১৭ মাসের যুদ্ধ-শেষে ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারি কর্মীরা ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন। কিন্তু কত শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি হবে, তার জন্য প্রতীক্ষায় থাকতে হবে স্যাটের রায়ের উপর।
১৭ মাসের যুদ্ধ-শেষে ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারি কর্মীরা ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন। কিন্তু কত শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি হবে, তার জন্য প্রতীক্ষায় থাকতে হবে স্যাটের রায়ের উপর। তবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আশাবাদী যে, তাঁরা এবার স্যাটের রায়েও সুবিচার পাবেন। হাইকোর্ট তাঁদের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে, এবার আর স্যাট মুখ ঘুরিয়ে থাকতে পারবেন না।
হাইকোর্টে এদিন খারিজ হয়ে গিয়েছে স্যাটের রায়। রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল বা স্যাট রায় দিয়েছিল, মহার্ঘভাতা বা ডিএ রাজ্য সরকারের মর্জি। রাজ্য সরকার ইচ্ছা করলে দেবে, না চাইলে নাও দিতে পারে। অর্থাৎ ডিএ রাজ্যের দয়ার দান- স্যাটের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে মামলা করে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন। সেই যুদ্ধে জয়লাভ হয়ে গিয়েছে।
এবার রাজ্য সরকারি কর্মীরা কি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সমতুল্য মহার্ঘভাতা পাবেন? সেই বিচারের ভার বর্তেছে ফের স্যাটের উপরেই। তার জন্য দু'মাস সময়ে নির্ধারণ করে দিয়েছেন উচ্চ আদালত। দু-মাসের মধ্যে স্যাটকে নির্ধারণ করে দিতে হবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ কত শতাংশ বৃদ্ধি হবে।
পুনরায় স্যাটে ডিএ মামলা ফিরলেও রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠন আশাবাদী এবং আত্মবিশ্বাসী এবার তাঁদের দাবি পূরণ হবেই। স্যাটেও আসবে কাঙ্খিত জয়। আইনজীবী আমজাদ আলি থেকে শুরু করে সংগঠনের পক্ষে শ্যামল মিত্র ও মলয় মুখোপাধ্যায়ের প্রত্যেকেরই দাবি, এবার কেন্দ্রের সমহারে ডিএ বরাদ্দ করা উচিত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য। তাঁদের বিশ্বাস এতে রাজ্যের কোষাগারে টান পড়বে না।
এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠনের সভাপতি শ্যামলেন্দু মিত্রের যুক্তি, রাজ্যে বহু শূন্যপদ রয়েছে, সেগুলি পূরণ হয়নি। ফলে তাঁদের বেতনও উদ্বৃত্ত হচ্ছে। আর অন্যান্য রাজ্যের কর্মীরাও কেন্দ্রের হারে মহার্ঘভাতা পাচ্ছেন। বঞ্চিত হচ্ছেন এ রাজ্যের কর্মীরা। এরপরও যদি রাজ্য সরকার কেন্দ্রের হারে ডিএ বৃদ্ধি না করে, সেটা তাদের ব্যর্থতা। এরপর অন্য রাজনৈতিক দলকেই সরকার চালানোর সুযোগ দেওয়া উচিত।
এদিকে কো আর্ডিনেশন কমিটি নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়ে রাখল এখন থেকেই। বকেয়া ৫৬ শতাংশ ডিএ ২৬ নভেম্বরের মধ্যে না দিলে নবান্ন অভিযান করবেন রাজ্যের সরকারি কর্মী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা।