নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি নয়, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশেও মনোনয়নের সময়সীমাও বাড়ছে না
নির্বাচন কমিশনের নয়া বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশের পরই প্রশ্নটা উঠে পড়েছিল, তাহলে পঞ্চায়েতের ভবিষ্যৎ কী হবে? তবে কি মনোনয়নের দিন ফের বাড়বে? সেই জল্পনায় অবশ্য জল ঢেলে দিল নির্বাচন কমিশন।
বিজেপির দায়ের করা মামলায় হাইকোর্ট এদিন নির্বাচন কমিশনের নয়া বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। এর আগে সোমবার হাইকোর্টের নির্দেশেই মনোনয়নের দিন একদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু রাতের মধ্যেই ভোলবদল করে কমিশন জানিয়ে দেন ওই নির্দেশিকা বাতিল। নতুন করে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, মনোনয়নের দিন বাড়ছে না।
প্রথমে মনোনয়নের দিন বাড়িয়ে ফের প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যায় বিজেপি। হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ জারি করতেই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। কী হবে পঞ্চায়েতের ভবিষ্যৎ। তবে হাইকোর্ট সেইসঙ্গে জানায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের অন্যান্য প্রক্রিয়া চলবে। তার মধ্যে ঢুকবে না কোর্ট। সেইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে এই মামলা চলবে। পরবর্তী শুনানি ২৩ এপ্রিল।
হাইকোর্টের অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ জারির পর মননয়নের সময় বাড়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল এদিনও। বিরোধীরা উৎসাহিত হয়েছিলেন এই সম্ভাবনায়। কিন্তু যেহেতু মনোয়নের দিন শেষ হয়ে গিয়েছে, আদালত সেই অধিকার কমিশনের উপরই ছেড়ে দেয়। সেইমতো কমিশন জানায় নতুন কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি হচ্ছে না। মনোনয়নের সম্ভাবনাও থাকছে না।
[আরও পড়ুন:তথ্য গোপন করেছে বিজেপি, এবার আইনি পথেই দিলীপ-মুকুলদের মোকাবিলা তৃণমূলের]