'ভয়' দেখিয়ে আদেশ বাতিল! মনোনয়নের মেয়াদ বৃদ্ধি বিতর্কে কেন এমন বলছেন বিরোধীরা
ভয় দেখিয়ে মনোনয়নের মেয়াদ বৃদ্ধির আদেশ বাতিল করানো হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে রাতেই প্রতিবাদ জানায় তৃণমূল কংগ্রেস।
ভয় দেখিয়ে মনোনয়নের মেয়াদ বৃদ্ধির আদেশ বাতিল করানো হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে রাতেই প্রতিবাদ জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। এরপরেই সকালে নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানায় কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে মেরুদণ্ডহীন বলে উল্লেখ করেছেন সুজন চক্রবর্তী।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সোমবার রাতে নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জানানো হয়েছিল মঙ্গলবার বেলা এগারোটা থেকে ৩ টে পর্যন্ত বিডিও এবং এসডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। কিন্তু রাতের কয়েক ঘণ্টা কাটতেই ভোল বদল নির্বাচন কমিশনের। সকাল থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে দফতরের সামনে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আশপাশের রাস্তায় গাড়ির যাতায়াতও বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ অফিসে এসেই সোমবারের মনোনয়নের মেয়াদ বৃদ্ধির নির্দেশিকা বাতিল করার কথা ঘোষণা করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। নতুন এই নির্দেশিকার কথা জেলাশাসকদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনা সম্পর্কে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর দাবি, রাজ্যের চারমন্ত্রী মঙ্গলবার সকালে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বাড়িতে গিয়ে চাপ সৃষ্টি করেন। তাঁকে গালাগালি করা হয় বলেও অভিযোগ। এই চাপে পড়েই সোমবারের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে মেরুদণ্ডহীন বলে উল্লেখ করেছেন সুজন চক্রবর্তী।
চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। এর আগের কমিশনার চাপের মুখে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। তৃণমূলের মন্ত্রীদের কাছে ধোলাই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ধোলাই খেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ।
নির্বাচন কমিশন ভুলের সংশোধন করেছে। মনে করছেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আদেশের বিরুদ্ধে সোমবার রাতেই কমিশনকে মেল করেন তিনি।