কল্যাণের আড়াই ঘণ্টা সওয়াল, মনে রাখতে পারলে নোবেল পেতাম, বিদ্রুপ অধীরের
আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আড়াই ঘণ্টার সওয়ালকে বিদ্রুপ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মামলায় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে আড়াই ঘণ্টা ধরে সওয়াল করলেন তৃণমূল সাংসদ কথা রাজ্য সরকারের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবু এই মামলায় কোনও লাভ করতে পারলেন না তিনি। এদিন তাঁর এই আড়াই ঘণ্টার সওয়ালকে বিদ্রুপ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
[আরও পড়ুন: ১ মে ভোটগ্রহণে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা! মঙ্গলবারও নিষ্পত্তি হল না পঞ্চায়েত-মামলার]
তিনি বলেন, আড়াই ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন মামলার রেফারেন্স টেনে গেলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মূল মামলা থেকে সরে গিয়ে অন্য কথায় সময় ব্যয় করলেন। তিনি কী বললেন, সব মনে নেই। আমি যদি ওত সব মনে রাখতে পারতাম, তাহলে নোবেল পুরস্কার পেয়ে যেতাম। অধীর চৌধুরীর কথায়, কল্যাণবাবু যে সওয়াল করে গেলেন, তার সারসত্য হল বিচারপতি অনধিকার চর্চা করছেন, তা বোঝানো।
অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, মূল মামলা থেকে সরে গিয়ে বিভিন্ন উদাহারণ টেনে এনে রাজ্য সরকারের আইনজীবী তাঁর দীর্ঘ সওয়ালে বারবার একটা কথাই ফিরিয়ে এনেছেন, ভোট প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর তার উপর হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত। ফলে মামলাটির গ্রহণযোগ্যতাই নেই।
অধীরবাবু বলেন, এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়েছেন। তাহলে সুপ্রিম কোর্ট কেন মামলাটি হাইকোর্টে পাঠাল? এর ব্যাখ্যায় আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আগামীকাল ফের এই মামলার শুনানি কতখানি প্রলম্বিত করেন তাঁর উপরই নির্ভর করবে পঞ্চায়েতের ভাগ্য। কল্যাণবাবু ফের বুধবার শুনানি পর্বে তাঁর যুক্তি খাঁড়া করবেন।
অধীরবাবু বলেন, পঞ্চায়েত ভোট অর্ধেক করেই ফেলেছিল শাসকদল। মনোনয়ন দিতে বাধা দিয়ে, তারপর পুলিশ দিয়ে মনোনয়ন পত্র তুলতে বাধ্য করে, প্রায় অধিকাংশ আসনেই জিতে গিয়েছিল তারা। কিন্তু শেষে এসে তাল কেটে গেল আদালতে। এখন আদালতের এক্সিয়ার নেই, তা-ই প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল, রাজ্য সরকার আর নির্বাচন কমিশন। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস সত্যের জয় হবেই। এই হিংসা, হানাহানি, সন্ত্রাস, রক্তচক্ষু বরদাস্ত করবে না দেশের আইন।
[আরও পড়ুন: বিচারব্যবস্থা নীরব, অভিযুক্তরা সোনার টুকরো! মক্কা মসজিদ-কাণ্ডে টুইট-বোমা মমতার ]