স্ট্র্যান্ডরোডের ঘটনা দুঃখজনক, দমকলের আধুনিকীকরণ জরুরি, পরোক্ষে কার দিকে আঙুল তুললেন রাজ্যপাল ধনখড়
স্ট্র্যান্ডরোডের ঘটনা দুঃখজনক, দমকলের আধুনিকীকরণ জরুরি, পরোক্ষে কার দিকে আঙুল তুললেন রাজ্যপাল ধনখড়
স্ট্র্যান্ড রোডে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। একই সঙ্গে কলকাতার দমকল বিভাগ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধুনিকিকরণ নিয়ে সওয়াল করেছেন তিনি। কলকাতার মতো মেট্রো শহরে দমকলের আরও বেশি আধুনিক হওয়া জরুরি বলে দাবি করেছেন তিনি। একই সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরেরও আধুনিকিকরণ জরুরি বলে দাবি করেছেন তিনি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন রাজ্যপালের
স্ট্র্যান্ড রোডের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি এই ঘটনা নিয়ে অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করেছেন। রাজ্যপাল বলেছেন এর আগেও কলকাতায় একাধিক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যাঁরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছিলেন তাঁরাই মারা গিয়েছেন, সেই ঘটনা আরও বেশি যন্ত্রণাদায়ক।
দমকলের আধুনিকীকরণ জরুরি
রাজ্যপাল দাবি করেেছন কলকাতা শহরে একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তাই শহরের দমকল বাহিনীর আর আধুনিকীকরণ জরুরি বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে পার্কস্ট্রিট অগ্নি কাণ্ডের ঘটনার কথা স্মরণ করেছেন রাজ্যপাল। সেখানেও অনেক লোক মারা গিয়েছিলেন। তবে স্ট্র্যান্ড রোডের ঘটনা দুঃখ জনক কারণ এখানে উদ্ধারকারীরাই মারা গিয়েছে। কলকাতার মতো বড় শহরের কথা মাথায় রেখে দমকলের আরও আধুনিকিকরণ জরুরি বলে জানিয়েছেন তিনি।
ক্ষতিপূরণ ঘোষণা
স্ট্র্যান্ড রোডের দুর্ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত থেকে প্রায় ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে রাতেই ঘটনাস্থলে যান।তখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। রাতই তিনি মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের ১ জনকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। পরে সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে ঘটনা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। এবং মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
মামলা দায়ের
স্ট্র্যান্ডরোেড নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংেয়র অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস অ্যাক্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। লালবাজারের হোমিসাইড শাখা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। লালবাজারের গোয়ন্দা বিভাগ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। কার গাফিলতিতে মৃত্যু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ইলেকট্রিক কেবল থেকে আগুন লেগেছে। ১৩ তলার করিডরে প্রথম আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে আগুন নেভাতে গিয়েই লিফটে উঠেছিলেন দমকল কর্মীরা। তারপরেই আগুনে ঝলসে মারা যান তাঁরা।