নবম-দশমে কত ভুয়ো নিয়োগ? হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই খুঁজতে বসল কমিশন
নবম এবং দশমে কত সংখ্যক ভুয়ো নিয়োগ? বুধবার সিবিআই এবং কমিশনের কাছে জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও এই বিষয়ে সঠিক ভাবে তথ্য দিতে পারেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। আর এরপরেই বৈঠকে বসে ভুয়ো নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য আদাল
নবম এবং দশমে কত সংখ্যক ভুয়ো নিয়োগ? বুধবার সিবিআই এবং কমিশনের কাছে জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও এই বিষয়ে সঠিক ভাবে তথ্য দিতে পারেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। আর এরপরেই বৈঠকে বসে ভুয়ো নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
আর এই নির্দেশের পরেই জরুরি বৈঠকে বসল কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। যা বতমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে এই তালিকা।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরেই এই বৈঠক
জানা যাচ্ছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরেই এই বৈঠক হবে। আর এই বৈঠকে স্কুল সার্ভিস কমিশন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং মামলাকারীদের আইনজীবীরাও উপস্থিত থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্পষ্ট নির্দেশ আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভুয়ো নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য আদালতে রিপোর্ট আকারে জমা দিতে হবে। অবৈধভাবে যারা চাকরি পেয়েছেন বৈঠকের মাধ্যমে তাঁদের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এরপর সেই সমস্ত তথ্য রিপোর্ট আকারে কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।
চাকরি যাবেই
বুধবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণে জানান, আমি বেআইনি নিয়োগকারীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করে যারা ওয়েটিংয়ে আছে তাদের অবিলম্বে চাকরি দিতে চাই। তারা অনেক অপেক্ষা করেছে। মামলাও অনেকদিন চলছে। আর সময় নষ্ট করতে চাই না বলেও পর্যবেক্ষণ করেন বিচারপরতি। শুধু তাই নয়, প্রকৃত চাকরি প্রাথীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করতে চান বলেও মন্তব্য বিচারপতির। বলে রাখা প্রয়োজন, পুজোর আগেই ভুয়ো নিয়োগের তালিকা জমা পড়বে হাইকোর্টে। ফলে উৎসবের মরশুমে বড় সংখ্যায় একটা ভুয়ো নিয়োগ বাতিল হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
যোগ্য প্রার্থীদের অবিলম্বে নিয়োগ
বুধবারই মামলার শুনানিতে একদিকে ভুয়ো নিয়োগ হওয়া প্রার্থীদের চাকরি যাওয়ার কথা বলেছেন। অন্যদিকে যোগ্য প্রার্থীদেরও নিয়োগ নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, আর দেরি করতে চাইনা। যোগ্য প্রার্থীরা অনেক দিন অপেক্ষা করেছে। দ্রুত নবম এবং দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে চান বলেও পর্যবেক্ষণে জানান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর এরপরেই নবম এবং দশমে কত সংখ্যক ভুয়ো নিয়োগ সেই বিষয়ে তথ্য তলব করে আদালত। স্কুল সার্ভিস কমিশনের পাশাপাশি সিবিআইকেও এই বিষয়ে তিথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।