২০১৬-র প্যানেলের ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগ, হাইকোর্টে সুখবর দিল এসএসসি
এসএসির মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও যাঁরা চাকরি পাননি তাঁদের জন্য সুখবর দিল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার হাইকোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসির পক্ষে থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়।
এসএসির মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও যাঁরা চাকরি পাননি তাঁদের জন্য সুখবর দিল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার হাইকোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসির পক্ষে থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের প্যানেলের ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে শীঘ্রই। রাজ্য মন্ত্রিসভায় স্কুলে নতুন শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সেইমতো নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে এসএসসি কর্তৃপক্ষ।
কমিশনের তরফে হাইকোর্টে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রাজ্যের মন্ত্রিসভায় এই মর্মে একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে। মন্ত্রিসভা তা অনুমোদন করার পর স্কুল সার্ভিস কমিশন তৎপর সেই পদ পূরণের জন্য। নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে সেই পদে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে অতি সত্বর।
বৃহস্পতিবার স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়মোট ৬৮৬১টি পদ তৈরি করা হচ্ছে। নবম-দশমে শিক্ষক, একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি হলফনামা আকারে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে আইনজীবী সম্রাট সেন কলকাতা হাইকোর্টে বিষয়টি জানান।
আদালতে যখন এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলাটি চলছে এবং আদালতের নির্দেশে সিবিআই তার জেরা করছে, তখন এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এ প্রসঙ্গে আদালত জানিয়ে দিয়েছে এসএসসি নিযোগ দুর্নীতি আর নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। সেইমতো দুটি ভিন্ন পথে তা চলবে।
রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে শিক্ষক ও গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আদালতে জানান, রাজ্য সরকারের এই নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি আসলে মামলাকারী ও আদালতের উপর চাপ সৃষ্টির কৌশল। আদালত এই বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না।
এ প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, যেখানে আগের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে এত দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, সেখানে রাজ্য সরকার নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা নেহাতই আই ওয়াশ ছাড়া আর কিছুই নয়। এই বিজ্ঞপ্তি ভাঁওতা বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে আদালত সার্বিকভাবে মনে করছে নতুন নিয়োগের সঙ্গে দুর্নীতি মামলার কোনও যোগ নেই।