হঠাৎ জরুরি অ্যালার্ম, ধোঁয়া, দমদম বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ বিমানের
হঠাৎ জরুরি অ্যালার্ম, ধোঁয়া, দমদম বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ বিমানের
উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়। আর তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে বিমান বিভ্রাটে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র এবং মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিত কর পুরকায়স্ত। জানা যায়, যে বিমানে তাঁরা বাগডোগরার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন তাতে হঠাৎ করেই ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে দমদম বিমানবন্দরের এটিসি'র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এবং জরুরি অবতরণ করা হয়। কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, অন্য বিমানে তাঁদের উত্তরবঙ্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যদিও এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া ঠিক নেই। ফলে সন্ধ্যায় সেখানে পৌঁছানো সম্ভব কিনা সেই বিষয়টিকেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা যায়, সোমবার সাড়ে ৪টে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎয়ের উদ্দেশ্যে একটি বেসরকারি সংস্থার বিমান ধরেন ডিজি এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা। গন্তব্য ছিল বাগডোগরা বিমানবন্দর। কিন্তু কলকাতা এয়ারপোর্ট থেকে রওনা হতেই বিমানের মধ্যে ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জানানো হয়, বিমানে ধোঁয়া দেখা গিয়েছে। জরুরি অবতরণ প্রয়োজন। সঙ্গে সঙ্গে রানওয়ে খালি করে দিয়ে অবতরণের জন্যে জায়গা করে দেওয়া হয় বিমানটিকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়া যাত্রীদের মধ্যে। রীতিমত বিমানের মধ্যেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। সেই সময় বিমানে ৬০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল বলে জানা যায়।
তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, নিরাপদেই বিমানটি কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। যাত্রীরাও সুরক্ষিত রয়েছেন বলে খবর। ঠিক আছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা। তবে সত্যিই কি ধোঁয়া বের হয় না কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিমানটিকে পরীক্ষা করে দেখছেন। উল্লেখ্য, এর আগে বিমান বিভ্রাটে একাধিকবার চক্রান্তের অভিযোগ তুলে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রেও এমন কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আজ সোমবার চারদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই উত্তরবঙ্গ সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে প্রশাসনিক বৈঠক ছাড়াও একাধিক দলীয় সভাতেও অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে নেত্রী মমতার। মূলত দলের কর্মীদের চাঙ্গা করতেই তাঁর এই সফর বলে সূত্রের খবর। লোকসভা ভোটে রীতিমত উত্তরে নিজেদের পায়ের মাটি হালকা হয়েছে শাসকদলের। শুধু তাই নয়, দলের গোষ্ঠী কোন্দলও প্রকাশ্যে এসেছে। এই অবস্থায় সুপ্রিমোর উত্তরবঙ্গ সফর যথেষ্ট রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এদিন আগামিকাল মঙ্গলবারের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভাতে যোগ দিতেই শিলিগুড়ি যাচ্ছিলেন ডিজি এবং সুরজিত কর পুরকায়স্ত।