লকডাউনের বিধি উড়িয়ে কলকাতায় করোনা নিবারণ যজ্ঞ বিজেপির
লকডাউনের বিধি উড়িয়ে কলকাতায় করোনা নিবারণ যজ্ঞ বিজেপির
লকডাউন বিধি উড়িয়ে করোনা দানব দমনে যজ্ঞ করল কলকাতার একদল বিজেপি কর্মী। বেলেঘাটার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি মন্দিরে চলল করোনা নিবারণ যজ্ঞ। সেখানে মুখে মাস্ক পরেই অংশ নিলেন বিজেপি কর্মীরা। আবার মুখে মাস্ক পরেই মন্ত্রপড়লেন পুরোহিত।
করোনা নিবারণ যজ্ঞ
গোটা বিশ্ব এখন করোনা থাবায় জর্জরিত। ভারতেরও নাজেহাল অবস্থা। ২১ দিনেরও বেশি সময় ধরে ঘরবন্দি হয়ে রয়েছে মানুষ। লকডাউন চলছে গোটা দেশে। কঠিন পরিস্থিতি। এই করোনা নামক ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে কলকাতার বেলেঘাটায় ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মীরা আয়োজন করেছিলেন করোনা নিবারণ যজ্ঞ। এলাকার একটি মন্দিরে এই যজ্ঞ করেন তাঁরা। যেখানে ৭ জনের বেশি এক জায়গায় জমায়েত হওয়া নিষেধ সেনির্দেশ অমান্য করেই যজ্ঞ সারলেন তাঁরা। মুখে মাস্ক পরেই যজ্ঞুর আগুনে আহুতি দিলেন তাঁরা। মুখে মাস্ক পরেই মন্ত্র পড়লেন পুরোহিত।
প্রধানমন্ত্রীর বার্তা
করোনা নিয়ে গুজব এবং ধর্মান্ধতা রোধে আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে বার্তা দিয়েছিলেন, কোনও রকম অবৈজ্ঞানিক পথে পা না ফেলতে। বা করোনা নিয়ে কোনও অবৈজ্ঞানিক যুদ্ধি প্রচার না করতে। কয়েকদিন আগেই এক বিজেপি সাংসদ বলেছিলেন রোদে গা সেঁকলে নাকি করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেকারণে সকলকে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে দিনে ১০ থেকে ১৫ মিনিট চড়া রোগে গা সেঁকতে বলেছিলেন তিনি। তারপরেই দলের নেতা কর্মী এবং সাংসদদের সতর্ক করে এই বার্তা দিয়েছিলেন মোদী।
গোমূত্রে করোনা নিবারণ
করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরেই হিন্দু মহাসভা গোমূত্র পার্টি করেছিল। সেটা ছড়িয়ে পড়েছিল রাজ্যেও। একাধিক জায়গায় বিজেপির পক্ষ থেকে করোনার হাত থেকে বাঁচতে গোমূত্র বিতরণ করা হচ্ছিল। ডানকুনি, রায়গঞ্জে তো ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছিল গোমূত্র। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও এর সপক্ষেই বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সকলেই কখনও না কখনও গোমূত্র সেবন করেছেন। তিনি নিজেও সেবন করেছেন গোমূত্র এবং প্রয়োজন পড়লে আবার গোমূত্র সেবন করবেন বলে জানিেয়ছিলেন। ইতিমধ্যে আবার গোমূত্র পান করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এক ব্যক্তি।