দুই ইস্তফা ভিন্ন প্রতিক্রিয়া রত্নার, হতাশার কান্না এতদিনে বদলে গেল হরিশে, বার্তা বৈশাখীকে
শোভন চট্টোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে হাউহাউ করে কেঁদেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই স্বামীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর কান্না দেখে রত্না বললেন- এতদিন আমি কেঁদেছি, এবার ওর কাঁদার পালা।
তৃণমূল ও রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ করে মিল্লি আল আমিন কলেজের অধ্যাপক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণার মঞ্চে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে হাউহাউ করে কেঁদেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই স্বামীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর কান্না দেখে রত্না বললেন- এতদিন আমি কেঁদেছি, এবার ওর কাঁদার পালা।
রত্না বলেন, এবার ও বুঝবে চোখের জল ফেলা কতটা কষ্টের। একইসঙ্গে রত্না বলেন, বৈশাথী যদি সত্যিই ইস্তফা দেয়, তবে কলেজের বাকি অধ্যাপকরা একটু শান্তিতে পড়াতে পারবেন। তাঁরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে। এদিন রত্নার কণ্ঠে ঝরে পড়ল আনন্দই। মুহূর্তে বিষাদ হাওয়া হয়ে গেল।
অথচ যেদিন শোভন ইস্তফা দিয়েছিলেন মেয়র এবং মন্ত্রিত্ব থেকে, সেদিন হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন রত্না। আক্ষেপ করে বলেছিলেন, আমি হাত ধরে শোভনকে এই জায়গায় তুলে এনেছিলাম। আর একটি মেয়ে সেই জায়গা থেকে তাঁকে নামিয়ে নিয়ে গেল কোথায়। পরতে পরতে তাঁর কণ্ঠে ধরা পড়েছিল খেদ।
এদিন অবশ্য বেশ খোশ মেজাজেই তিনি বুঝিয়ে দিলেন, তাঁকে কাঁদিয়েছেন এতদিন, তার ফল তো ভুগতেই হবে। আর তা-ই অক্ষরে অক্ষরে ফলে যাচ্ছে। অবিকল মিলে যাচ্ছে সেই কথা। রত্না তাই বেজায় খুশি। একইসঙ্গ তিনি চাইছেন শোভন ফের ফিরে আসুন মূলস্রোতে। আবার তিনি স্বমহিমায় দল করুন, মানুষের পাশে থাকুন।